দুর্ভোগ: মোবাইলে নেটওয়ার্ক আনতে চেষ্টা বাসিন্দাদের। বুধবার, মালবাজারে। নিজস্ব চিত্র
কখনও কথা বলতে বলতে লাইন কেটে যায়। কখনও আবার শুধুই এক প্রান্তের কথা শোনা যায়। দীর্ঘদিন ধরেই কোচবিহারে একাধিক বেসরকারি কোম্পানির মোবাইল নেটওয়ার্ক চলছিল এমন করেই। বুধবার বিকেল থেকে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় একাধিক বেসরকারি মোবাইলের পরিষেবা। রাত পর্যন্ত একই অবস্থা চলেছে। ফলে, এ দিন চরম অসুবিধায় পড়েন লক্ষ লক্ষ গ্রাহক। মাসে মাসে যেখানে টাকা জমা দেওয়ার পরেই ‘ফোন’ বা ‘ডাটা’ ব্যবহারের অনুমতি পাওয়া যায়, তার পরে সেই সব কোম্পানি কেন পরিষেবা দিতে ব্যর্থ হবে, তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। বিষয়টি কোচবিহারে জেলাশাসককেও জানিয়েছেন একাধিক গ্রাহক। জেলাশাসক কৌশিক সাহা বলেন, ‘‘বিষয়টি অবশ্যই দেখা হবে।’’
বাসিন্দাদের দাবি, সরকারি মোবাইল নেটওয়ার্ক পরিষেবা দীর্ঘদিন থেকে বেহাল থাকায় বিভিন্ন বেসরকারি নেটওয়ার্কের গ্রাহক সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। অনেক স্কুল, কলেজ, সরকারি অফিসেও অনলাইন কাজের জন্য বেসরকারি কোম্পানির ডাটা ব্যবহার করা হয়। এ দিন কোচবিহারের এক বেসরকারি ফোন সংস্থার গ্রাহক অনিমেষ দাস বলেন, ‘‘গত কয়েক মাস ধরে পরিষেবা বলে
কিছু নেই। এ দিন কোনও কাজই করতে পারিনি। অনলাইনে তো কাজ হয়ইনি, ফোনে কথা বলাও ছিল বন্ধ।’’ অন্য আরও একটি বেলসরকারি মোবাইল নেটওয়ার্ক পরিষেবাও এ দিন পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ
তবে বাজারে নতুন আসা একটি বেসরকারি মোবাইল নেটওয়ার্ক পরিষেবার অবস্থা ছিল তুলনায় একটু ভাল। তবে তা-ও চলঠছিল টিমটিম করে। মাঝেমধ্যে খানিক নেটওয়ার্ক পাওয়া গেলেও পরমুহূর্তে তা মিলছিল না বলে অভিযোগ করেন অনেকেই।
গ্রাহকদের অনেকেরই অভিযোগ, নম্বর ডায়াল করলেই দেখাচ্ছল, ‘নট রেজিস্টার্ড অন নেটওয়ার্ক।’ চিত্রশিল্পী শ্রীহরি দত্ত বলেন, ‘‘বহুবার ফোন অন-অফ করলাম, কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। পরে বুঝতে পারলাম, পরিষেবা একেবারেই নেই। দিনভর অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে সমস্যা হল।” বেসরকারি কোম্পানিগুলির তরফে অবশ্য দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।