তিন ব্যক্তিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র
ছাগল চোর সন্দেহে তিন জনকে লিচু গাছে বেঁধে গণপিটুনি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে কালিয়াচকের সুলতানগঞ্জ সংলগ্ন একটি লিচু বাগানে। খবর পেয়ে কালিয়াচক থানার পুলিশ ওই তিন জনকে উদ্ধার করে সিলামপুর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। অভিযোগ, ওই তিন জন সহ আরও এক জন একটি চার চাকার ছোট গাড়ি করে এসেছিল এবং সেই গাড়িটিকেও ভাঙচুর করে উত্তেজিত মানুষ। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ওই তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
মালদহেরই বৈষ্ণবনগর থানার ১৬ মাইল সংলগ্ন খেজুরিয়া এলাকা থেকে এ দিন দুপুরে তিনটি ছাগল একটি চার চাকার ছোট গাড়িতে তুলে চার জন পালায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনা জানাজানি হতেই স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ ওই গাড়ির পিছু ধাওয়া করে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পালাতে না পেরে ওই চার জন চার চাকার গাড়িটিকে কালিয়াচক থানা এলাকার সুলতানগঞ্জে পাগলা নদীর ধারে একপাশে দাঁড় করিয়ে রেখে নদী সংলগ্ন ঝোপেঝাড়ে লুকিয়ে পড়ে। এর পরেই পিছু নেওয়া ওই বাসিন্দারা এবং স্থানীয় লোকজন মিলে তাঁদের মধ্যে তিন জনকে ধরে ফেলে ও শুরু হয় গণপিটুনি। অভিযোগ, লিচু গাছে দড়ি দিয়ে বেঁধে ওই তিন জনকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তাঁদের গাড়িটিতেও ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত লোকজন। খবর পেয়ে কালিয়াচক থানার পুলিশ গিয়ে ওই তিন জনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে এবং চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় সিলামপুর হাসপাতালে।
এ দিকে তাঁদের সঙ্গে থাকা একজন পালাতে সক্ষম হয় বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের বাড়িঘর কোথায় এবং তাঁরা আদৌ ছাগল চুরি করতে এসেছিল কিনা তা উদ্ধারের চেষ্টা করছে। গত দুই বছর আগেই মালদহ জেলা জুড়ে গণপিটুনির হিড়িক পড়েছিল। শেষ পর্যন্ত পুলিশ ও প্রশাসনের তৎপরতায় এবং সচেতনতামূলক প্রচারে গণপিটুনি অনেকটাই বন্ধ হয়। কিন্তু এদিন ফের চোর সন্দেহে তিন জনকে গণপিটুনি দেওয়ায় বিভিন্ন মহলে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, গণপিটুনি নিয়ে জেলা জুড়ে ফের সচেতনতা প্রচার করা হবে।