সোনার দোকানের নিখোঁজ কর্মী রামজয় পালের (৪২) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল ফাঁপড়ি এলাকার জঙ্গল থেকে। শনিবার রাতে একটি গাছ থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে ভক্তিনগর থানার পুলিশ। মৃতদেহটি কয়েকদিন ধরে সেখানেই ঝুলে ছিল বলে পুলিশের অনুমান। দেহটিতে আংশিক পচনও ধরা শুরু হয়েছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। শিলিগুড়ি পুলিশের এসিপি পূর্ব পিনাকী মজুমদার বলেন, ‘‘দেহটি ময়নাতদন্তের পরেই আসল ঘটনা বোঝা যাবে।’’ তবে ওই দিন ফাঁপড়ি এলাকাতেই কারও কাছ থেকে টাকা আদায়ের জন্য গিয়েছিলেন কি না, রামজয়বাবু তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। তবে মৃতের স্ত্রী কৌশল্যাদেবীর অভিযোগ ছিল, প্রথমে ভক্তিনগর থানার পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করায় এত দেরি হয়েছে। না হলে আরও দ্রুত স্বামীকে উদ্ধার করা হয়ত সম্ভব হত। পরে ঘটনার কথা জানতে পেরে এসিপি পূর্বের হস্তক্ষেপে পুলিশ তৎপর হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রামজয়বাবুর বাড়ি শিলিগুড়ির ভক্তিনগর থানার শিবরামপল্লি এলাকায়। ভক্তিনগর থানায় গত মঙ্গলবার থেকে নিখোঁজ হলেও প্রথমে অভিযোগ না নিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।। পরে বুধবার তাঁর স্ত্রী ফের থানায় যান। তার পরেই লিখিত অভিযোগ নেওয়া হয়। সেবক রোডের একটি দোকানে কাজ করতেন রামজয়বাবু। তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। স্ত্রী গৃহবধূ। মঙ্গলবার সকালে দোকান যাবার কথা বলে বাড়ি থেকে বার হন। তারপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। সেবক রোডের যে দোকানে রামজয়বাবু কাজ করেন, সেখানে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তিনি ওইদিন কাজেই যাননি। কৌশল্যাদেবীর বক্তব্য, ‘‘ছোট ফাঁপড়িতে একজনের কাছে দেড় হাজার টাকা পাওনা ছিল। তা আদায় করতে ওইদিন যাওয়ার কথা ছিল। সেখানেও লোক পাঠিয়েও খোঁজ মেলেনি। ভক্তিনগর থানার পুলিশের কাছে গেলে অভিযোগ নিতে পুলিশ অস্বীকার করে বলে অভিযোগ।’’