ছাত্রীর খুনে জড়িতদের ধরে দ্রুত শাস্তির দাবিতে পথে নামছে কার্শিয়াং। গত শনিবার রাতে রিম্বিক খোলা লাগোয়া এলাকা থেকে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মাসখানেক ধরে নিখোঁজ থাকার পরে ছাত্রীর দেহ উদ্ধার ঘিরে রহস্য তৈরি হয়। পরিবারের সদস্যদের একাংশের অভিযোগ, ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। মঙ্গলবারই এই ঘটনায় সন্দেহভাজন তিন যুবককে ধরেছে পুলিশ। এ দিনই দোষীদের শাস্তির দাবিতে দুপুর এবং সন্ধ্যায় কার্শিয়াঙে দু’টি মিছিল হয়েছে। শহরের ব্যবসায়ী-সহ বিশিষ্টজনেরা দুপুরে মিছিল করেছেন। সন্ধ্যেবেলায় মোমবাতি মিছিল করেছেন যুবক-যুবতীরা। পুলিশের ওপর চাপ রাখতে নিয়মিত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার যে তিনজনকে পুলিশ ধরেছে তারা সকলেই ছাত্রীর পূর্বপরিচিত। আশিস রাই, আনমোল রাই এবং প্রয়াস রাই নামে ধৃত তিনজনই ছাত্রীর বাড়িতে যেত বলে পুলিশের দাবি। ওই যুবকদের মোবাইল কল রেকর্ডও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কার্শিয়াঙের এসডিপিও এল বিদ্যা বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে খুন করা হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। তিনজনকে আপাতত ধরা হয়েছে। তাদের থেকে বিভিন্ন সূত্রও মিলছে।’’ ধৃতদের এ দিন কার্শিয়াং আদালতে তোলা হলে পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১৬ নভেম্বর সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেনি ওই ছাত্রী। কাজ আছে বলে অন্য দিনের তুলনায় আগেই বাড়ি রওনা দিয়েছিল ছাত্রীটি। তারপর থেকে কোনও হদিশ মেলেনি ছাত্রীর। সপ্তাহ দুয়েক আগে ছাত্রীর স্কুল ব্যাগ রাস্তার পাশ থেকে উদ্ধার করেছিল পুলিশ। গত শনিবার সন্ধ্যায় রাস্তার পাশে পাথর চাপা অবস্থায় ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়।