ভোটের কাজে গিয়ে শিক্ষকেরা দলের হয়ে কাজ করবেন—এমন পরামর্শ দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। শনিবার কোচবিহার নৃপেন্দ্রনারায়ণ হাইস্কুলের মাঠে তৃণমূলের মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সম্মেলনে তিনি শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেন, “নির্বাচনে প্রহরী হিসেবে ব্যালট বাক্স, ব্যালট মেশিন পাহারা দেন আপনারা। সে জন্য সব শিক্ষককে সংগঠনে নিয়ে আসতে হবে। যাতে বিরোধীরা কোথাও ভোট চুরি করতে না পারে।”
মন্ত্রীর আরও পরামর্শ, নির্বাচন এলেই অনেকে ভোটের ডিউটি এড়াতে চেষ্টা করেন। সেটা করা যাবে না। একজন ডিউটি না করলে একজন প্রহরীর সংখ্যা কমে যাবে। পরে তিনি বলেন, দায়িত্ব হিসেবেই ভোট চুরি রুখবেন তাঁরা। বাম আমলে এমন ঘটনা অনেক হয়েছে। তাই তাঁরা এ বার পাহারা দেবেন।
বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি নিখিলরঞ্জন দে অভিযোগ করেন, গত নির্বাচনগুলিতে নানা ভাবে ভোট লুঠ করেছে শাসক দল। তিনি বলেন, “এটা বেশি দিন চলবে না। শিক্ষকেরাই রুখে দাঁড়াবে। মানুষও রুখে দাঁড়াচ্ছে।” সিপিএমের কোচবিহার জেলা সম্পাদকণ্ডলীর সদস্য মহানন্দা সাহা বলেন, ‘‘শিক্ষকদের একটা মূল্যবোধ আছে। এই ধরনের পরামর্শে বিশেষ লাভ হবে না।” পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির কোচবিহার জেলা সভাপতি তথা সাংসদ পার্থপ্রতিম রায় অবশ্য বলেন, “সম্মেলনে সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে দলের জেলা সভাপতি কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। তা নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই।” এ দিন তৃণমূলের মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির প্রথম জেলা সম্মেলন ছিল। সাংসদ হওয়ার পরে পার্থবাবু সংগঠন কত মজবুত করতে পেরেছেন সে দিকে দলের নজর ছিল। সে জন্য জেলার সব প্রান্ত থেকে গাড়ি বোঝাই করে শিক্ষকদের আনা হয়। পার্থবাবুর কথায়, “মুখ্যমন্ত্রীর কাজে শিক্ষকেরা খুশি। তাই দিনে দিনে সংগঠন শক্তিশালী হচ্ছে।”