প্রতীকী ছবি।
পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে আসার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ল বাস। মঙ্গলবার সাত সকালে করণদিঘি ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ওই বাসের সঙ্গে লরির মুখোমুখি ধাক্কায় জখম হন ২০ জন পরিযায়ী শ্রমিক। গুরুতর জখম বাস ও লরির চালক। আহতদের চিকিৎসার জন্য করণদিঘি গ্রামীণ হাসপাতাল ও রায়গঞ্জ মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বাসটি হরিয়ানা থেকে শ্রমিকদের নিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরে হরিরামপুরে যাচ্ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, জখমরা উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ, হেমতাবাদ এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারি এবং হরিরামপুরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
জখমদের মধ্যে সোলেমান মিঞা জানান, তাঁরা দিল্লিতে কেউ নির্মাণ শ্রমিকের কাজে, কেউ কারখানায় যুক্ত। করোনার জেরে কারখানা বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে তাঁরা বাড়ি ফেরার জন্য বাসটি ভাড়া করেন। শনিবার হরিয়ানা থেকে রওনা দেন। রাস্তার মধ্যেও চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে তাঁদের। পথে অনেক জায়গায় খাবারের হোটেল বন্ধ ছিল। ফলে মুড়ি খেয়ে কাটাতে হয়। রাস্তায় বারবার পুলিশের বাধা পেতে হয়। তিনি বলেন, ‘‘করোনা বিধি মেনে বাসের জন্য সরকারি অনুমোদন নেওয়া সত্ত্বেও পথে বিভিন্ন নাকা চেকিং পয়েন্টে হয়রানি হতে হয়। এতটা পথ অতিক্রম করে আসার পরে বাড়ির কাছে এসে দুর্ঘটনায় পড়তে হল।’’
সোলেমান ও নুরদের প্রত্যেকের আক্ষেপ, ‘‘নিজের এলাকায় একটা ভাল কাজ পেলে অন্য রাজ্যে গিয়ে কাজ করতে হত না।’’
এ দিন দুর্ঘটনার খবর পেয়ে জখম শ্রমিকদের দেখতে যান করণদিঘির তৃণমূল বিধায়ক গৌতম পাল।
তিনি বলেন, ‘‘বিক্ষিপ্ত ভাবে শ্রমিকেরা বাড়ি ফিরছেন। বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।’’ করণদিঘি থানার
পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।