—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
‘দুয়ারে সরকার’-এর শিবিরে পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করতে উত্তর দিনাজপুরে সাড়া পড়লেও, দক্ষিণ দিনাজপুরে তেমন সাড়া পড়েনি। শুক্রবারই শেষ হয়েছে সপ্তম দফার শিবির। তাই বাদ পড়ে যাওয়া শ্রমিকদের নাম সারা বছর পঞ্চায়েত ও ব্লক অফিসে থাকা বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে প্রশাসন। দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণ বলেন, ‘‘দুয়ারে সরকার শিবির শেষ হয়েছে মানে এটা নয়, যে পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রকল্প বন্ধ হয়ে গেল। বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে সারা বছরই নাম তোলা যাবে।’’
জেলার ৮০টি বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে এই পরিষেবা বছরভরই মিলবে। ই-শ্রমের তথ্য বলছে, দক্ষিণ দিনাজপুরে দুই লক্ষ ৫৩ হাজার ৫৭৫ জন অসংগঠিত শ্রমিক রয়েছেন। প্রশাসন সূত্রে খবর, এঁদের অধিকাংশই পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁদের তথ্য সংগ্রহ করতেই পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির হয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ১১ হাজার ৫০০ জন এই প্রকল্পের জন্য আবেদনপত্র সংগ্রহ করেছেন। তাঁদের মধ্যে আবেদন জমা দিয়েছেন মাত্র ৩,৫০০ জন। তবে উত্তর দিনাজপুরে এ দিন পর্যন্ত পরিযায়ী শ্রমিকেরা ৪০ হাজার আবেদনপত্র নিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি আবেদন বিলি হয়েছে গোয়ালপোখর ১ ও ২ নম্বর ব্লকে। এই জেলার ইসলামপুর মহকুমার পাঁচটি ব্লকে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। উত্তর দিনাজপুরের শ্রম দফতরের উপ-শ্রম কমিশনার বিদিশা ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘‘বাড়ি গিয়ে প্রচার করা হয়েছিল। তাই এত সাড়া মিলেছে।’’ তবে প্রশাসনের এক সূত্রের বক্তব্য, এই সংখ্যাও ‘যথেষ্ট’ নয়। কারণ, এই জেলাতেও কয়েক লক্ষ বাসিন্দা ভিন্ রাজ্যে কাজের জন্য রয়েছেন। সামনেই পুজোর মাস। তার আগে, অতিরিক্ত উপার্জনের জন্য শ্রমিকরা এখনও সেখানেই কাজ করছেন। তাই শিবিরে উপস্থিতি অনেকটাই কম। তবে পরিবারের এক জন বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে গিয়ে ভিন্ রাজ্যে থাকা পরিবারের পরিযায়ী শ্রমিকদের তথ্য দিয়ে নথিভুক্ত করাতে পারবেন। পরিবারের যিনি আবেদন করছেন তাঁর সঙ্গে বাইরে থাকা শ্রমিকের যে সম্পর্ক রয়েছে তার যে কোনও একটি প্রমাণপত্র দেখালেই, আবেদন করা যাবে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।