Mob Lynching

Mob Lynching: কনকনে শীতে খালি গা করে, হাত বেঁধে গণপিটুনি, মানসিক ভারসাম্যহীনকে বেধড়ক মার

সেই মারধরের দৃশ্য যাঁরা দেখছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই শীত থেকে বাঁচতে সোয়েটার, মাফলার পরে রয়েছেন। হাত বাঁধা অভিযুক্তের পরনে শুধু রয়েছে প্যান্ট।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ধূপগুড়ি শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২১ ১৩:৩৯
Share:

খালি গা করে, দড়ি দিয়ে বেঁধে চলছে বেধড়ক মার। নিজস্ব চিত্র

শীতের ভোরে কুয়াশায় ঢাকা এলাকা। জনমানবশূন্য। সেই সময় এক মহিলার ঘরে ঢুকে পড়ল জনৈক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। মহিলার চিৎকারে ওই ব্যক্তিকে হাতেনাতে ধরে ফেললেন এলাকাবাসী। তার পর খালি গা করে, দড়ি দিয়ে বেঁধে চলল বেধড়ক মার।

সেই মারধরের দৃশ্য যাঁরা দেখছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই শীত থেকে বাঁচতে সোয়েটার, মাফলার পরে রয়েছেন। হাত বাঁধা অভিযুক্তের পরনে শুধু রয়েছে প্যান্ট। এই ভাবে বেশ কিছুক্ষণ চলে মারধর। এর পর পুলিশে খবর দেওয়া হলে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় তারা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন। ধূপগুড়ি পৌরসভায় ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের মহাকাল পাড়া এলাকায় এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

Advertisement

অভিযোগকারিনী ইন্দুদেবী প্রসাদ বলেন, ‘‘ভোরবেলা আমি বাইরে বেরিয়ে ছিলাম। সেই সুযোগে আমার পিছনে পিছনে ওই ব্যক্তি ধাওয়া করে আচমকাই ঘরের ভিতরে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দেয়। এর পর গলা চেপে ধরে।’’ আটকাতে গিয়ে ওই ব্যক্তির সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। কোনও রকমে সেই ঘর খুলে বাইরে বেরিয়ে চিৎকার করলে আশপাশের প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন এবং অভিযুক্তকে ধরে ফেলেন।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক অধীর কীর্তনীয়া ১ নম্বর ওয়ার্ড জঙ্গলপাড়ার বাসিন্দা। মানসিক অসুস্থতা নিয়ে গত দু’বছর ধরে তিনি একটি হোমে চিকিৎসাধীন ছিলেন। কিছু দিন আগেই তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে্ন। স্থানীয় বাসিন্দা ঝুলন দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘অভিযুক্ত যুবককে আমি পুলিশ জিপে দেখতে পাই এবং তখনই চিনতে পারি। আমাদের এলাকার বাসিন্দা। ওরা দুই ভাই। এক ভাই দোকানে কাজ করে আর অধীর মানসিক ভারসাম্যহীন।’’ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তাঁকে বাড়ি ফিরেয়ে দিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement