প্রতীকী ছবি।
শুভেন্দু অধিকারীর ‘ঘনিষ্ঠ’ মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডলকে তলব করলেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। দলীয় সূত্রে খবর, গৌরকে সঙ্গে নিয়ে মালদহ জেলা তৃণমূল সভাপতি মৌসম নুরকে বুধবার কলকাতায় ডেকে পাঠানো হয়। বুধবার রাতে কলকাতার ক্যামাক স্ট্রিটের কার্যালয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর (পিকে) মৌসম ও গৌরের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। দলের অন্দরমহলের খবর, অভিষেক ও পিকে মূলত গৌরের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থান জানতে চান। গৌরের দাবি কী, তা-ও জানতে চাওয়া হয়। তবে এই বৈঠক নিয়ে মৌসম বা গৌর কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ৮ নভেম্বর মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে আসতে পারেন শুভেন্দু। দলের কয়েক জন নেতার দাবি, শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ মহলের তরফে মালদহ জেলা পরিষদের কয়েক জন সদস্য এবং পঞ্চায়েত সমিতির একাধিক পদাধিকারীকে সে দিন বহরমপুরে ডাকা হয়েছে। শুভেন্দুর কয়েক জন ‘অনুগামী’ সে দিন বহরমপুরে যেতে পারেন বলেও খবর। যদিও এ নিয়ে জেলা পরিষদের কোনও সদস্য মুখ খুলতে চাননি।
রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর অবস্থান নিয়ে এখন রাজ্য-রাজনীতি সরগরম। মালদহ জেলায় কয়েক বছর দলের পর্যবেক্ষক ছিলেন শুভেন্দু। বিধানসভা ও লোকসভা ভোটে সফল না হলেও পঞ্চায়েত নির্বাচনে শুভেন্দুর হাত ধরেই মালদহে সাফল্য পায় তৃণমূল। জেলা পরিষদের পাশাপাশি বেশিরভাগ পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করে শাসকদল। দলের অন্দরমহলের খবর, পর্যবেক্ষক থাকার সুবাদে জেলার ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের একাধিক পদাধিকারী এমনকি জেলা ও ব্লক স্তরের অনেক নেতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে শুভেন্দুর। শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ বলে জেলায় পরিচিত জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্রও।
দলীয় সূত্রে খবর, শুভেন্দুর অবস্থান নিয়ে রাজনৈতিক ডামাডোলের জন্যই তাঁর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত গৌরকে তলব করেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। বুধবার রাতে তৃণমূলের যুব নেতা অভিষেকের ক্যামাক স্ট্রিটের কার্যালয়ে অভিষেক ও পিকের উপস্থিতিতে মৌসম ও গৌরের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়। সভাধিপতির ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, গৌর মানিকচক বিধানসভা আসনে দলীয় প্রার্থী হতে চান। কিন্তু কলকাতার ওই বৈঠকে তিনি সেই দাবি রাজ্য নেতৃত্বের কাছে রেখেছেন কিনা তা স্পষ্ট নয়।
বৈঠকের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে গৌর কোনও মন্তব্য করতে চাননি। মৌসমও বিষয়টি 'জানা নেই' বলে প্রশ্ন এড়িয়েছেন।