Kushmandi

Kushmandi Mask: কুশমন্ডির মুখোশ ঢাকছে মাস্কে! কৃষিকাজে রোজগার খুঁজছেন নবীন শিল্পীরা

কুশমন্ডির ব্লকের মহিষবাথান, উষাহরণ, বেরাইল, দেহাবন্দ গ্রামের শিল্পীদের ছেনি-হাতুড়ির কেরামতিতে বাঁশ বা কাঠের টুকরো বদলে যায় মুখোশে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কুশমন্ডি শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২১ ১৮:২১
Share:
Advertisement

মাস্কে ঢাকা পড়ছে কুশমন্ডির মুখোশ শিল্প! রাজ্য জুড়ে কার্যত লকডাউন পরিস্থিতিতে এই ঐতিহ্যবাহী মুখোশ শিল্পের চাহিদা প্রায় তলানিতে। ফলে কৃষিকাজের মাধ্যমে রোজগারের দিকে ঝুঁকছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের নবীন প্রজন্মের মুখোশ শিল্পীরা।

কুশমন্ডির ব্লকের মহিষবাথান, উষাহরণ, বেরাইল, দেহাবন্দ গ্রামের শিল্পীদের ছেনি-হাতুড়ির কেরামতিতে বাঁশ বা কাঠের টুকরো বদলে যায় মুখোশে। জেলার গণ্ডি ছাড়িয়ে যার কদর বেড়েছে দেশবিদেশের রসিকজনদের কাছেও। ঐহিত্যের পাশাপাশি রোজগারের লক্ষ্যে ১৯৯১ সালে মাত্র ২৭ জন শিল্পীকে পথচলা শুরু করেছিল রাজ্য সরকারের উদ্যোগে তৈরি মহিষবাথান গ্রামীণ হস্তশিল্প সমবায় সমিতি। সমিতির সদস্যসংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে।

মুখোশ তৈরির কাজে কুশমন্ডির শিল্পীরা। —নিজস্ব চিত্র।

শঙ্কর সরকারের মতো প্রবীণ শিল্পীদের প্রশিক্ষণে নতুন প্রজন্মের শিল্পীরা ঐতিহ্যবাহী প্রথা অটুট রাখার পাশাপাশি হস্তশিল্পকে তুলে ধরার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। তবে করোনার থাবায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মুখোশ শিল্পের বাজারও। মুখ ফেরাচ্ছেন শিল্পীরাও। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ২ জুলাই সমিতি খুললেও শিল্পীর সংখ্যা হাতেগোনা। অর্ডার না থাকায় কাজ চলছে ঢিমেতালে।

Advertisement

মহিষবাথানের শিল্পীরা জানিয়েছেন, কুশমন্ডির রাজবংশী সম্প্রদায়ের কাছে এই কাঠের মুখোশগুলির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ধর্মবিশ্বাসও। ফসল কাটার মরসুমে ‘অশুভ শক্তি’ তাড়াতে মুখোশ পরে চলে গোমিরা নাচ। সেই নৃত্যশিল্পীদের জন্য কাঠের মুখোশ তৈরি করা হয়। গোমিরা নাচের দু’টি চরিত্র ‘বুড়ো-বুড়ি’ আসলে শিব- পার্বতীর রূপ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
সর্বশেষ ভিডিয়ো
Advertisement