প্রতীকী ছবি।
স্কুলে স্কুলে মাধ্যমিকের টেস্ট চলছে। তাতে দেখা গিয়েছে পড়ুয়াদের একটা অংশের অনুপস্থিতি। যা নিয়ে স্কুলের শিক্ষকেরা উদ্বেগে। ডালখোলার লালগঞ্জ লাগোয়া হাইস্কুলের পরীক্ষায় ছিল না অনেকেই। স্কুল বন্ধ থাকায় বহু পড়ুয়ারই পড়াশোনার সঙ্গে সম্পর্ক চুকে গিয়েছে। বিয়ে হয়েছে কারও কারও। তবে তাদের বেশির ভাগই স্কুলে ফিরতে আগ্রহী বলে জানতে পারছেন শিক্ষকরা। এই পরিস্থিতিতে শনিবার স্থানীয় একটি জনজাতি গ্রামে গিয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে মাধ্যমিকের বিবাহিত তিন ছাত্রীকে ফেরানো গিয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিকের এক বিবাহিত ছাত্রীও স্কুলে ফেরার কথা দিয়েছে।
বিয়ে দেওয়ার কারম জানতে চাইলে এক অভিভাবক জানান, লকডাউনে টানা স্কুল বন্ধ। কবে স্কুল খুলবে তা নিয়ে সংশয়ে ছিলেন। বাড়িতেও অভাব। এই পরিস্থিতিতে ভাল পাত্রের খোঁজ পেয়ে মেয়ের বিয়ে দিয়ে দেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন বলেন, ‘‘যাদের বিয়ে হয়েছে,তারা মুলত দরিদ্র পরিবারের। করোনা পরিস্থিতিতে রুজি-রোজগার কমে গিয়েছিল। ভাল পাত্র পেয়ে মেয়েদের বিয়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন অনেক অভিভাবক। এ দিন তিন বিবাহিত ছাত্রীকে স্কুলে ফেরানো সম্ভব হল। ফের স্কুলেই আলাদা ভাবে তাদের টেস্ট নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।’’
শিক্ষকেরা মনে করছেন, ছাত্রীদের বিয়ে হলেও স্কুল বন্ধ থাকায় তা জানা যায়নি। কন্যাশ্রী ক্লাবের মেয়েরা ছাত্রীদের বিয়ে আটকাতে ভাল কাজ করত। সে সবও বন্ধ ছিল। সচেতনতার অভাবেই এমনটাই ঘটছে। বাল্যবিয়ে আটকাতে স্কুলের তরফে গ্রামে গ্রামে গিয়ে নিয়মিত সচেতন করতে পদক্ষেপ করা হবে।
কন্যাশ্রী প্রকল্পের জেলা আধিকারিক অনির্বাণ রায় বলেন, ‘‘টানা স্কুল বন্ধ থাকার ফলে কন্যাশ্রী যোদ্ধারাও তাদের সহপাঠী বা বন্ধুদের সঙ্গে তেমন যোগাযোগ রাখতে পারছিল না। বাল্যবিবাহের খোঁজ পাওয়ার এটাই সব চেয়ে সুগম সূত্র। ফের কন্যাশ্রী ক্লাবগুলোকে সক্রিয় হতে বলা হয়েছে।’’