বাজারে বিক্রি হচ্ছে দক্ষিণ ভারতের আম। নিজস্ব চিত্র
বৈশাখ পড়লেও, আমের জেলা মালদহে নিজেদের আমের দেখা নেই। বরং, এখন জেলার বাজার দাপাচ্ছে ‘বহিরাগতেরা’। দক্ষিণ ভারতের বাঙ্গানপল্লি, গোলাপখাস বা তোতাপুরি আম। চড়া দামে ভিন্ রাজ্যের সে আম কিনতে হাত পুড়ছে রোজা রাখা মানুষ থেকে আম-জনতার। মরসুমের প্রথমে বাজারে আসে মালদহের বৈশাখি গুটি ও গোপালভোগ আম। তবে সে সব আসতে এখনও তিন সপ্তাহ সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন জেলা উদ্যান পালন দফতরের আধিকারিকেরা।
জেলা উদ্যানপালন আধিকারিক সামন্ত লায়েক বলেন, “মালদহের আম বরাবর একটু দেরিতে বাজারে আসে। সাধারণত, মে মাসের শুরু থেকে মালদহের গোপালভোগ বা বৈশাখি গুটি আম বাজারজাত হতে পারে। যেহেতু দক্ষিণ ভারতের আমগুলি আবহাওয়ার কারণে আগে পেকে যায়, তাই তাড়াতাড়ি বাজারে চলে আসে।”
মালদহের আমগুলির মধ্যে বৈশাখি গুটি, গোপালভোগ, হিমসাগর, লক্ষ্মণভোগ, ল্যাংড়া, ফজলি, আম্রপালি, মল্লিকা গোটা দেশ তো বটেই, আন্তর্জাতিক বাজারেও সুখ্যাতি কুড়িয়েছে। কিন্তু বৈশাখ এসে গেলেও, দেখা নেই জেলার আমের। তার বদলে বাঙ্গানপল্লি আম বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৫০ টাকা থেকে ১৬০ টাকায়। গোলাপখাস ও তোতাপুরি আম বিকোচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা প্রতি কেজি দরে। মালদহের রথবাড়ি বাজারে ভিন্ রাজ্যের আম বিক্রেতা অসীম সরকার বলেন, “বাজারে এখনও জেলার আমের দেখা নেই। তাই বাজার দাপাচ্ছে দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা বহিরাগত আম।’’ পাইকারি ফল বিক্রেতা গৌতম সাহা বলেন, “জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায়, পরিবহণ খরচ বেশি পড়ছে। সে জন্য ভিন্ রাজ্যের ওই আমের দাম বেশি।’’
এখন রমজান মাস চলছে। ইফতারের সময় রোজাদারেরা অনেকেই পাতে আম রাখতে চাইছেন। ইংরেজবাজার শহরের কুট্টিটোলার বাসিন্দা রোজাদার সাবিরুল ইসলাম বলেন, “ইফতারের সময় আম হলে ভালই হয়। কিন্তু দাম এতটাই চড়া যে, আম কেনা যাচ্ছে না। এ ছাড়া, মালদহের আমের স্বাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে, ধারে-কাছেও আসবে না ওই সমস্ত আম।” মকদুমপুরার বাসিন্দা অসিত দাস বলেন, “দক্ষিণ ভারত থেকে আসা আমের অনেক দাম।” তাঁদের প্রশ্ন, মালদহের আম বাজারে কবে উঠবে!