ফাইল চিত্র।
হোম সেন্টারে পরীক্ষা। তবুও অনুপস্থিত বহু উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। এমনই ছবি গৌড়বঙ্গের তিন জেলা, মালদহ ও দুই দিনাজপুরে। উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম দিনের পরীক্ষা নির্বিঘ্নেই হয়েছে বলে দাবি করেছেন সংসদ কর্তৃপক্ষ।
মালদহ
মাধ্যমিকের মতো উচ্চ মাধ্যমিকেও মালদহে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ না আসায় স্বস্তিতে সংসদ কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, বাইরে থেকে টুকলি সরবরাহেরও অভিযোগ নেই। হোম সেন্টারে পরীক্ষা হলেও জেলার ২৬৫টি কেন্দ্রেই পুলিশ মোতায়ন করা হয়। পরীক্ষার্থীদের মোবাইল রয়েছে কি না তাও যাচাই করে দেখা হয়েছে। তবে পরীক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির সংখ্যা ভাবাচ্ছে সংসদ কর্তাদের। তাঁদের দাবি, প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে কমপক্ষে গড়ে ১০-১৫ জন করে অনুপস্থিত। বিবাহিত পরীক্ষার্থীও বহু রয়েছে জেলার বহু স্কুলেই।
দক্ষিণ দিনাজপুর
পরীক্ষা দিতে আসেননি দুই ছাত্রী। তাদের বাড়িতে ফোন করেন প্রধান শিক্ষিকা। তাঁকে জানানো হয়, মেয়েদের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। এবারে আর তারা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে না। এমনই ঘটনা ঘটে বালুরঘাটের একটি স্কুলে। প্রধান শিক্ষিকা মহুয়া মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিয়ে হয়ে যাওয়ায় মেয়েদের পরীক্ষা দিতে পাঠানো হল না। মন খারাপ হয়ে রয়েছে।’’ এমনই ছবি অন্য স্কুলেও দেখা গিয়েছে। অনুপস্থিত রয়েছে ছাত্ররাও। জেলার ১৩১টি পরীক্ষা কেন্দ্রেই গড়ে ২ থেকে ৭ জন পড়ুয়া এ দিন উচ্চ মাধ্যমিক দেননি বলে স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে। জেলা শিক্ষা দফতর কর্তৃপক্ষ জানান, মোট ২৬ হাজার ৭৯৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে এ দিন কত জন অনুপস্থিত ছিলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ দিন পরীক্ষা হলে অসুস্থ হয়ে পড়ায় গঙ্গারামপুরের বিসরাইল হাইস্কুলের দুই ছাত্রী মাম্পি সরকার ও মাসুদা খাতুন গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে বসে পরীক্ষা দেন।
উত্তর দিনাজপুর
উত্তর দিনাজপুর জেলার ৯টি ব্লকে উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম দিনের পরীক্ষা নির্বিঘ্নে শেষ হয়েছে। সংসদ কর্তৃপক্ষের দাবি, কোনও পরীক্ষা কেন্দ্রে বাইরে থেকে টুকলি সরবরাহ কিংবা পরীক্ষা কেন্দ্রের ভিতরে পরীক্ষার্থীদের টুকলির কোনও অভিযোগ ওঠেনি। সংসদ নিযুক্ত উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা পরিচালনার জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক প্রসূন দত্তের দাবি, নির্বিঘ্নে পরীক্ষা শেষ করতে এ দিন জেলার সমস্ত পরীক্ষা কেন্দ্রে পুলিশ, প্রশাসন ও সংসদের প্রতিনিধিরা সর্বক্ষণ কড়া নজরদারি চালিয়েছেন। মোট ৪৩ হাজার ৫৭৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৯৮ শতাংশ পরীক্ষা দিয়েছেন। গোয়ালপোখরে পথ দুর্ঘটনায় জখম এক ছাত্র, রায়গঞ্জের একটি ছাত্রী হাসপাতালে বসে পরীক্ষা দেন।
তথ্য সহায়তায়: অভিজিৎ সাহা, অনুপরতন মোহান্ত ও গৌর আচার্য।