খরচ হয়নি পুরো টাকা। প্রতীকী চিত্র।
চলতি ২০২২-২৩ আর্থিক বছর শেষ হতে তিন মাসেরও কম সময় বাকি রয়েছে। সব ঠিক, থাকলে আগামী তিন-চার মাসের মধ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার কথা। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে, উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ ব্লকের ১৪টি পঞ্চায়েতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পে কেন্দ্রের পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের ৪০ শতাংশেরও বেশি টাকা এখনও খরচ করতে পারেনি প্রশাসন।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই নবান্ন থেকে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনে পড়ে থাকা বকেয়া টাকার কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশ পাওয়ার পরে তৎপরতা শুরু হয়েছে রায়গঞ্জ ব্লক প্রশাসনের অন্দরেও। ব্লক প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে প্রস্তাবিত উন্নয়নমূলক কাজগুলি শেষ না হলে রাজ্য সরকার তথা শাসকদল প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে। তা ছাড়া, পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হয়ে গেলে নতুন করে উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করা যাবে না। তাই, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের পড়ে থাকা টাকায় রায়গঞ্জ ব্লকের ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দ্রুত প্রস্তাবিত সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।”
সব মিলিয়ে, চলতি আর্থিক বছরে ওই ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ‘টায়েড’ ও ‘আনটায়েড’ তহবিল মিলিয়ে বিভিন্ন উন্নয়নের জন্য হাতে পাওয়া পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের মোট ৩৩ কোটি ৩০ লক্ষ ৭৬ হাজার ২১৮ টাকার মধ্যে এখনও পর্যন্ত প্রশাসন ১৯ কোটি ৩৮ লক্ষ ১০ হাজার ৯৩৯ টাকা খরচ করতে পেরেছে। অর্থাৎ, বাকি ১৩ কোটি ৯২ লক্ষ ৬৫ হাজার ২৭৯ টাকা এখনও পর্যন্ত ওই দুই তহবিলের নির্ধারিত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে খরচই করতে পারেনি প্রশাসন।
‘টায়েড’ তহবিলে পঞ্চায়েত এলাকায় পানীয় জলের পরিকাঠামো, নিকাশিনালা ও শৌচাগার তৈরির মতো কাজ হয়। ‘আনটায়েড’ তহবিলে পঞ্চায়েত এলাকায় রাস্তা, শশ্মান, যাত্রী প্রতিক্ষালয় তৈরি, আলো বসানো-সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়।
রায়গঞ্জের বিডিও শুভজিৎ মণ্ডল বলেন, “প্রশাসন ৩১ জানুয়ারির মধ্যে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের পড়ে থাকা বকেয়া টাকায় সমস্ত কাজ শুরু করার চেষ্টা করছে।”
চলতি, অর্থবর্ষ শুরু হওয়ার পর ন’মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও কেন এখনও রায়গঞ্জ ব্লকের ওই ১৪টি পঞ্চায়েত এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের ৪০ শতাংশেরও বেশি টাকা খরচ করা সম্ভব হল না? বিডিওর দাবি, “অনেক ক্ষেত্রে টেন্ডার বাতিল, বিভিন্ন সামগ্রী কিনতে জটিলতা ও পঞ্চায়েতের কর্মীদের বদলির জেরে ওই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।”