—প্রতীকী চিত্র।
উত্তর দিনাজপুরের পাঞ্জিপাড়া পঞ্চায়েতের প্রধান খুনের তিন দিন পরেও ঘটনার কিনারা না হওয়ায়, নিহতের পরিবার এবং দলের একাংশ পুলিশি ভূমিকায় ক্ষুব্ধ। শুক্রবার ধৃত কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য মহম্মদ মুস্তাফাকে ইসলামপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। ইসলামপুর পুলিশ জেলার সুপার জশপ্রীত সিংহ বলেন, “পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এক জনকে ধরা হয়েছে। কয়েক জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। শীঘ্রই ঘটনার কিনারা হবে।’’
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার বিহারের নেপাল সীমান্তের গলগলিয়া থেকে দু’জনকে আটক করেছে। তাদের বাড়ি বিহারের কিসানগঞ্জ এলাকায়। সন্দেহ করা হচ্ছে, আটক দু’জন ‘সুপারি কিলার’। তবে পুলিশের কর্তারা এই মুহূর্তে এ নিয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না। এ দিন পাঞ্জিপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যেরা পাঞ্জিপাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে স্মারকলিপি জমা দিয়ে রাহি-খুনে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান। পরে সদস্যেরা বৈঠকে বসেন। পাঞ্জিপাড়া পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রাজা সিংহ বলেন, “দিনদুপুরে প্রধানকে গুলি করে হত্যা করে মারা হল। স্বাভাবিক ভাবে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যত দিন না খুনিরা ও যারা এর পিছনে, তারা গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত পঞ্চায়েত অফিসে যাব না।’’
এ দিকে, কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য মুস্তাফাকে গ্রেফতার করা নিয়ে রাজনৈতিক চাপান-উতোর শুরু হয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক ও চাকুলিয়ার প্রাক্তন বিধায়ক আলি ইমরান রমজের দাবি, “শাসক দল এবং পুলিশ ষড়যন্ত্র করে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতে ও খুনিদের ধরতে ব্যর্থ হওয়ায় আমাদের দলের এক সদস্যকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। আমরাও চাই, পুলিশ খুনিদের ধরুক। আসল ঘটনা প্রকাশ্য নিয়ে আসুক। তবে তদন্তের নামে মুস্তাফাকে হয়রানি, কিংবা নির্যাতন করা হলে দলীয় ভাবে ব্যবস্থা নেব আমরা।’’
এরই পাশাপাশি, এই দিন উত্তর দিনাজপুরের তৃণমূল জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল দাবি করেন, “ষড়যন্ত্রের কোনও ব্যাপার নেই। পুলিশ তদন্ত করে যেমন সূত্র পাবে সে ভাবে এগোবে।’’ পুলিশ সুপার বলেন, “বেশ কিছু তথ্য মিলেছে। বেশ কিছু সম্ভাব্য কারণ সামনে এসেছে। সব দিক খতিয়ে দেখেছি। সুপারি কিলার দিয়ে খুন। খুনিরা বিহারে পালিয়েছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজও মিলেছে। বিহার পুলিশের সাহায্য নিয়ে আততায়ীদের ধরতে টানা তল্লাশি চলছে।’’