প্রবল ঝড়ে ভেঙে গিয়েছে বাড়ি। ধ্বংসস্তূপ থেকে গেরস্থালির জিনিস উদ্ধারের চেষ্টা বাসিন্দার। ফুলবাড়ির পশ্চিম ধনতলা এলাকায়। নিজস্ব চিত্র
মঙ্গলবার রাতের ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হল জলপাইগুড়ি জেলার একাধিক ব্লকে। সোমবার রাতেও ঝড়ে কারণে ক্ষতি হয়েছিল ময়নাগুড়ির ৬টি পঞ্চায়েত এলাকায়। দু’দিনই ঝড়ের কারণে বেশ কিছু এলাকার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। বুধবার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। ব্লক প্রশাসন ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী।
মঙ্গলবার রাতের ঝড়ে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের পাতকাটা গ্রাম পঞ্চায়েত, পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে ওই এলাকায়। জলপাইগুড়ি শহরেও বেশ কিছু এলাকায় ঝড়ের দাপটে গাছের ডাল ভেঙে পড়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না শহরের একটি বড় অংশে। বুধবার অবশ্য শহরে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক আছে বলে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা সূত্রে জানানো হয়েছে।
সোমবার রাতে ঝড়ের দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ময়নাগুড়ির রামশাই, আমগুড়ি, খাগড়াবাড়ি ১ ও ২, চূড়াভান্ডার এবং ময়নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। বহু বাড়ির টিনের ছাউনি উড়ে গিয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের চাল উড়ে গেছে। বাঁশ-ঝাড় উপড়ে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে কলা গাছ। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রের খবর, ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ভুট্টা, পাট, ঝিঙে, পটল, কোয়াশ চাষের।
বুধবার ময়নাগুড়ির ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। মন্ত্রী এ দিন ময়নাগুড়ি ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের সঙ্গেও মন্ত্রী বৈঠক করেন। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ঝড়ের ক্ষতি দেখতে গিয়েছিলাম। ময়নাগুড়ির ৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা দেখেছি। ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেছি। বানারহাট, ধূপগুড়ি, জলপাইগুড়ি সদরেও ক্ষতি হয়েছে। ত্রাণ বিলি সুষ্ঠুভাবে চলছে।’’
এ দিন ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে পুলিশের বাধায় জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়কে ফিরে আসতে হয়েছে বলে অভিযোগ। এই প্রসঙ্গে গৌতম দেব বলেন, ‘‘এখন এখানে ওখানে না গিয়ে বিজেপি নেতারা কোয়রান্টিনে থাকুন, সুস্থ থাকুন। প্রশাসনকে কাজ করতে দিন।’’