বন্ধ হয়ে পড়ে আছে পঞ্চায়েত অফিস। নিজস্ব চিত্র।
কাটমানি নিয়ে বচসা, মারামারি, আর তার জেরেই প্রায় এক মাস ধরে তালা বন্ধ হয়ে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস। গত ৯ নভেম্বর থেকে তালা বন্ধ মালদহের মানিকচকের উত্তর চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিস। ফলে চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
ঝামেলার সূত্রপাত কাটমানির ভাগাভাগি নিয়ে। অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রধান বিউটি বিবির স্বামী আতাউর রহমান ও বিরোধী দলনেতা রুকসানা পরভিনের স্বামী কামাল শেখের সঙ্গে কাটমানি নিয়ে গন্ডগোল হয়। লকডাউন চলাকালীন উত্তর চণ্ডীপুরের দু’টি উচ্চবিদ্যালয় এবং কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে কোয়রান্টিন সেন্টার করা হয়। সেই সেন্টারের খরচ বাবদ ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার বিল করে পঞ্চায়েত। আর এই টাকা নিয়ে বিপত্তি বাধে। অভিযোগ, বিল বাবদ এক লক্ষ টাকা দাবি করেন কামাল। কিন্তু সেই টাকা দিতে রাজি হননি প্রধান। আর তা নিয়েই পঞ্চায়েত অফিসের ভিতরেই দু’জনের মধ্যে বচসা বাধে। সেই বচসা হাতাহাতিতে পৌঁছয়।
কামালের মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে আতাউরের বিরুদ্ধে। অন্য দিকে, পঞ্চায়েত অফিসে ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে কামালের বিরুদ্ধে। দু’পক্ষই ভুতনি থানায় পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। গ্রেফতার করা হয় আতাউরকে। তিন দিন হাজতবাসের পর জামিনে মুক্তি পান তিনি। সেই ঘটনার পর থেকে তালাবন্ধ হয়ে পড়ে পঞ্চায়েত অফিস। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দু’পক্ষের ঝামেলার জেরে পঞ্চায়েত অফিস বন্ধ। ফলে প্রয়োজনীয় কাজ সব বন্ধ হয়ে আছে। চরম হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে তাঁদের। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এই অচলাবস্থা কাটাতে প্রশাসন থেকে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। এ ব্যাপারে মানিকচকের বিডিও জয় আহমেদকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনও রকম মন্তব্য করতে চাননি। ‘পঞ্চায়েত অফিস খুলে যাবে শীঘ্রই’— এই বলে দায় এড়িয়েছেন তিনি।