প্রতীকী ছবি
হোম কোয়রান্টিনে থাকা বাসিন্দাদের বাড়ির সামনে ‘ঘোষণাপত্র’ সেঁটে দেওয়ার কাজ শুরু করল প্রশাসন। সোমবার কোচবিহার পুরসভা এলাকায় ওই কাজ শুরু হয়।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে কোচবিহার পুরসভা এলাকায় ৬০টি বাড়িতে এমন ঘোষণাপত্র সেঁটে দেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে কোচবিহার ১, ২ ব্লকে ওই কাজ শুরু হবে। জেলার অন্য এলাকাগুলিতেও একই পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রশাসনের ব্যাখা, ওই ঘোষণাপত্রে জেলাশাসকের কন্ট্রোল রুমের ফোন নম্বর, স্বাস্থ্য দফতর, মহকুমা, ব্লক ও গ্রাম পঞ্চায়েত পর্যায়ের হেল্পলাইন নম্বর ছাপান থাকছে। ফলে সংশ্লিষ্ট বাড়ির বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যে কোনও সমস্যা প্রতিবেশীরা সহজে জানাতে পারবেন। তাছাড়া সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারেও সচেতনতার বার্তা দেওয়া যাবে। বিনা কারণে চিহ্নিত বাড়ির কোনও সদস্য জনবহুল এলাকায় এলে বোঝার সুবিধা হবে।
প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ঘোষণাপত্রের বয়ান অনেকটা স্বেচ্ছা বক্তব্যের মতো। যেখানে লেখা থাকছে, "আমাদের পরিবারের সদস্য/ সদস্যাগণ, আমরা এই মর্মে ঘোষণা করছি যে নিজেদের ও এলাকাবাসীর স্বার্থের কথা চিন্তা করে স্বেচ্ছায় (নির্দিষ্ট তারিখ পর্যন্ত) নিজ গৃহে আবদ্ধ থাকব। এই ব্যাপারে সকলের থেকে সাহায্য ও সহযযোগিতা একান্ত ভাবে কামনা করি।"
ঘোষণাপত্র সেঁটে দেওয়ার সময় কোচবিহারের উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌরভ শীল, পুরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর বিশবজিৎ রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। প্রশাসনের এক কর্তার দাবি, গৃহকর্তাকে বিষয়টি বুঝিয়ে সম্মতি নিয়েও ওই ঘোষণাপত্র সাঁটা হচ্ছে। প্রত্যেক বাড়িতে হোম ডেলিভারির নম্বর দেওয়া হচ্ছে। যাঁদের আর্থিক অবস্থা খারাপ তাঁদের রেশন ও অন্যসামগ্রী দিতে সবরকম সহযোগিতা করা হচ্ছে।
কোচবিহারের সদর মহকুমা শাসক সঞ্জয় পাল বলেন, “ওই উদ্যোগে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর সুবিধা হবে।" কোচবিহারের মুখ্য সবাস্থ্য আধিকারিক সুমিত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “সবাই আরও বেশি করে সচেতন হতে পারবেন।"
প্রশাসনের উদ্যোগে খুশি বাসিন্দারাও। কয়েকজন জানান, এতে সংক্রমণের আশঙ্কা কমবে।