প্রতীকী ছবি।
কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের যৌথ সহযোগিতায় ম্যাঙ্গো ট্যুরিজম চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে মালদহে। আগামী বছর থেকেই এই ট্যুরিজম চালু করার পরিকল্পনা করেছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব এগ্রিকালচার-এর নিয়ন্ত্রণাধীন সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট ফর সাবট্রপিক্যাল হর্টিকালচার(সিআইএসএইচ)-এর মালদহ শাখা।
ম্যাঙ্গো ট্যুরিজমের জন্য ইতিমধ্যে পরিকাঠামো-সহ সমস্ত বিষয় খুঁটিয়ে দেখেছেন দফতরের দুই শীর্ষ কর্তা, মুখ্য ইঞ্জিনিয়ার এবং অন্যতম কৃষি বিজ্ঞানী রামকৃষ্ণ পাল এবং অভিজিৎ কর। পাঁচ বছর আগে মালদহ শহরে গড়ে উঠেছে সিআইএসএইচ-এর কৃষিবিজ্ঞান ও গবেষণা কেন্দ্র। প্রথমে আম নিয়ে কাজ শুরু করে তারা। পরে লিচু, বেদানা, ডালশস্য-সহ একাধিক ফল নিয়ে গবেষণা শুরু করেছে এই সংস্থা।
সংস্থার মালদা শাখার দায়িত্বে থাকা বিজ্ঞানী দীপক নায়েক জানান, পাঁচ বছর ধরে এখানে কাজ হচ্ছে। চাষিদের এই গবেষণা কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। নিজেদের জমিতে প্রয়োগের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও জানান, মালদহে সরকার স্বীকৃত কোনও নার্সারি নেই। তাই এখানেই নার্সারি খোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী বছর থেকেই চাষিদের সম্পূর্ণ সহায়তা করা সম্ভব হবে। এই নার্সারি থেকে ন্যূনতম দামে বিভিন্ন প্রজাতির আমগাছের চারা পাওয়া যাবে৷ পাশাপাশি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সহায়তায় এখানে ম্যাঙ্গো ট্যুরিজম শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন নায়েক।
কেমন হবে সেই ট্যুরিজম?
নায়েক জানান, আমবাগানে থাকার জন্য কুঁড়ে ঘর বানানো হবে। আমের সময় পর্যটকরা সেখানে থাকতে পারবেন। বিভিন্ন আমের স্বাদ নিতে পারবেন। একই সঙ্গে আম থেকে উৎপন্ন সামগ্রীগুলির স্বাদও নিতে পারবেন পর্যটকরা। তৈরি করা হবে ম্যাঙ্গো মিউজিয়াম। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরই এই ট্যুরিজম চালু হতে চলেছে৷ পাশাপাশি মালদার কিছু প্রজাতির আম বিদেশে রফতানি করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নায়েক।