জহিরকে ঘিরে শোকার্ত পরিজনেরা। তখনও বেঁচে তিনি। নিজস্ব চিত্র
জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে প্রৌঢ়কে রাস্তায় কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল নাতির বিরুদ্ধে। চাঁচলের শাহবাজপুরে বৃহস্পতিবার সকালের ঘটনা। চায়ের দোকান থেকে ফেরার সময় রাস্তার উপরে প্রকাশ্যে ওই খুনের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায়। বাসিন্দারা তাড়া করতেই ছুরি হাতে ওই যুবক পালিয়ে যায়। পুলিশ জানায়, নিহতের নাম শেখ জহির (৫৫)। অভিযুক্ত ফিরদৌস আলি সম্পর্কে তাঁর নাতি। রাস্তায় ছুরিবিদ্ধ জহির শেখকে চাঁচল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসার সময় পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চললেও সন্ধে পর্য়ন্ত তার হদিশ মেলেনি বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
চাঁচলের আইসি সুকুমার ঘোষ বলেন, ‘‘অভিযুক্তকে ধরতে সবরকম চেষ্টা চলছে। জমি সংক্রান্ত ঝামেলাতেই ওই যুবক খুন করেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান।’’
স্থানীয় সূত্রে খবর, ফিরদৌসের বাবা মৃত সফিকুল আলম জহিরের খুড়তুতো ভাইপো। ফিরদৌসের পিসির কাছে থেকে একটি জমি কিনেছিলেন জহির। ওই জমি নিতে ফিরদৌস বাধা দিলেও ফল হয়নি। তা নিয়ে তার রাগ ছিলই। এ দিন সকালে বাড়ির পাশেই চায়ের দোকানে চা খেয়ে বাড়ি ফিরছিলেন জহির। ওই সময় আচমকাই তাঁর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে শরীরে এলোপাথাড়ি ছুরি দিয়ে ফিরদৌস কোপাতে থাকে বলে অভিযোগ।
তবে এর পাশাপাশি স্থানীয় সূত্রে খবর, পাঁচ বছর আগে ফিরদৌসের বাবা সফিকুল মারা যান। একটি পুকুরের দখল নিয়ে কাকা জহিরের সঙ্গে বিবাদ ছিল তাঁর। তা নিয়ে দু’পক্ষে মারামারিও হয়েছিল। ওই ঘটনায় আহত সফিকুল পরে মারা যান। আদালতে সেই মামলা চলছে। ওই ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে জহিরেরও নাম রয়েছে বলে সূত্রের খবর। বাবার মৃত্যুর জন্য জহিরই দায়ী বলে মনে করত ফিরদৌস। তার পরে পিসির জমি কেনা নিয়ে বিবাদ। দুয়ের জেরেই সে দাদু জহিরকে খুনের ছক কষে বলে পড়শিরা মনে করছেন। যদিও ফিরদৌসের বাবার সঙ্গে জহিরের পুরনো বিবাদ নিয়ে পুলিশ মন্তব্য করতে চায়নি।