—প্রতীকী চিত্র।
তুতো ভাইয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন স্ত্রী। এই অভিযোগে ভাইয়ের হাত কেটে নিলেন তুতো দাদা। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ থানা এলাকায়। হাসপাতালে শয্যায় শুয়ে আক্রান্তের অভিযোগ, ‘‘জেঠু এবং দাদা আমায় মেরেছে। আমি বাইরে বেরিয়েছিলাম। দাদা আমার হাত ধরে রেখেছিল। হাঁসুয়া দিয়ে আমার হাত কাটতে গেল ওর বাবা। আমি চিৎকার করছিলাম...।’’ ওই যুবকের দাবি, বৌদির সঙ্গে তিনি ‘কথাবার্তা’ বলতেন বলে রাগ ছিল দাদার। সেখান থেকে তাঁকে এই আক্রমণ। তিনি দু’জনের শাস্তি দাবি করেছেন। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার রাতে কালিয়াগঞ্জ থানার বাসিন্দা বিপ্লব রায়কে আক্রমণ করেন তুতো দাদা সঞ্জয় এবং জেঠু ভাদ্রু রায়। অভিযোগ, অস্ত্র দিয়ে যুবকের বাঁ হাতের কব্জি কেটে নেন তুতো দাদা। বিপ্লবের চিৎকারে আশপাশ থেকে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। রক্তাক্ত অবস্থায় বছর ছাব্বিশের যুকককে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। কিন্তু, সেখানকার চিকিৎসকেরা তাঁকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি।
আক্রান্ত এবং আক্রমণকারীদের পরিবার সূত্রে খবর, বিপ্লবের তুতো দাদা সঞ্জয়ের স্ত্রীর পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে অশান্তি হয়। সেখান থেকে শনিবার রাতের ওই ঘটনা। যদিও কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থানায় দায়ের হয়নি। তবে বিষয়টির খোঁজখবর করছে তারা।