দীর্ঘ ক্ষণ রেললাইনে পড়ে থাকেন যুবক।
ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে আহত যাত্রী রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রইলেন রেললাইনে। কেউ মোবাইলে ছবি তুললেন, কেউ ভিডিয়ো করলেন। কিন্তু উদ্ধারে এগিয়ে এলেন না কেউ। ঘণ্টাখানেক ওই ভাবে রেললাইনে পড়ে থাকার পর মৃত্যু হল যুবকের। বৃহস্পতিবার এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল ধূপগুড়ি।
বৃহস্পতিবার সকালে ধূপগুড়ি এবং আলতাগ্রাম স্টেশনের মাঝে এক যুবককে রেললাইনের উপর পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। দীর্ঘ ক্ষণ তিনি ওই ভাবে পড়ে ছিলেন। কয়েক জনের দাবি, তাঁরা রেলকে খবর পাঠান। কিন্তু এক ঘণ্টা পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেলের আধিকারিকরা। দেখা যায়, তখনও জ্ঞান আছে ওই আহত যুবকের। আধিকারিকরা তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করেন। এই আইনি বেড়াজালে সময় পেরোয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় যুবকের। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম খতিবুল আলম। তিনি অসমের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গুয়াহাটি থেকে মুম্বইয়ের দিকে যাচ্ছিল ডাউন লোকমান্য তিলক এক্সপ্রেস। ধূপগুড়ি স্টেশন পার হতেই এক যাত্রী কোনও ভাবে ট্রেন থেকে পড়ে যান। ট্রেনটি তাঁর উপর দিয়ে চলে যাওয়ায় দুটো পা-ই কাটা পড়ে। ওই অবস্থাতেই পড়েছিলেন তিনি। স্থানীয়রা দেখলেও নিজেরা উদ্ধার করেননি। তাঁরা রেল, ধূপগুড়ি থানা এবং দমকলে খবর দেন। এ ভাবে কেটে যায় প্রায় এক ঘণ্টা। পরে যুবককে উদ্ধার করে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
রেলের আধিকারিকদের অনুমান, ট্রেনের দরজা দিয়ে হয়তো কোনও ভাবে পড়ে যান ওই ব্যক্তি। ঘটনার তদন্ত করছে জিআরপি।