ধামিপাড়া গ্রামে জানকি রায়ের মৃত্যুর জন্য একই পরিবারের চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন মৃতার স্বামী কর্ণদেব রায়। সোমবার বিকলে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় তিনি অভিযোগ দায়ের করেন। রবিবার সকালে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার বারপাটিয়া পঞ্চায়েতের ধামিপাড়া গ্রামে জমিতে জল দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুটি পরিবারের মধ্যে বিবাদ বাধে। বিবাদ মেটাতে সকালেই সালিশি সভা বসলে, সভার মধ্যে ধাক্কাধাক্কিতে অজ্ঞান হয়ে যান কর্ণদেব রায়ের স্ত্রী জানকি রায়। সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য রঞ্জিত রায়। সভা প্রায় শেষ হওয়ার সময় সুরজের কাকিমা সুনিতি ওড়াঁও জানকি রায়ের ওর চড়াও হন বলে অভিযোগ। সেই সময় কর্ণদেব রায়কে সুরজ ওড়াঁও এবং বাকি অভিযুক্তরা মারতে থাকে। জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। রবিবারই তার দেহ ময়না তদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সোমবার কর্ণদেববাবু একই পরিবারের সুরজ ওড়াঁও, সুনিতা ওড়াঁও, সুধন ওড়াঁও এবং বিপীন ওড়াঁওয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তদের বাড়ি ভান্ডিগুড়ি চাবাগানের ভাটা লাইনে। কর্ণদেববাবু বলেন, ‘‘আমি ওদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছি।” জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার আইসি আশিস রায় বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে একটা মামলা রুজু হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজা হচ্ছে। তারা পলাতক।” পঞ্চায়েত সদস্য রঞ্জিত রায় বলেন, “আমি কোন সালিশি সভা ডাকিনি। দু’টি পরিবারের পক্ষ থেকে আমাকে ডাকা হয় বলেই আমি সভায় উপস্থিত ছিলাম।”