মালদহের চাঁচলে কুপিয়ে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার যুবক। — নিজস্ব চিত্র।
মালদহের চাঁচলে প্রকাশ্যে এক মহিলাকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। গ্রামবাসীরা হামলাকারী যুবককে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন। ধৃত মানসিক ভারসাম্যহীন কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
হাতে দা, কোদাল, কুড়ুল নিয়ে গ্রামে ঘোরাফেরা করতেন শীতল প্রামাণিক। মাঝেমধ্যেই গ্রামের মহিলাদের সঙ্গে ঝামেলাতেও জড়িয়ে পড়তেন তিনি। বৃহস্পতিবারও তেমনই এক মহিলার সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন শীতল। বাগ্বিতন্ডার মধ্যেই হাতের কুড়ুল দিয়ে ৪৮ বছর বয়সী মহিলাকে কোপাতে শুরু করেন শীতল। চিৎকার শুনে এবং রক্তাক্ত অবস্থায় মহিলাকে পড়ে থাকতে ছুটে আসেন গ্রামবাসীরা। তাঁরা এসেই পলায়ন উদ্যত শীতলকে ধরে ফেলেন। খবর যায় পুলিশে। পুলিশ এসে শীতলকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। উদ্ধার হয়েছে কুড়ুলটিও।
এ দিকে তত ক্ষণে মৃত্যু হয়েছে মহিলার। স্থানীয় বাসিন্দা দীপ্তি প্রামাণিক বলেন, ‘‘বেগুনি গোয়ালঘরে গরু ঢুকিয়ে বাড়ির দরজায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেই সময় শীতল কুড়ুল নিয়ে তেড়ে আসেন। ভয়ে গ্রামের লোকেদের ডাকতে যাই। ফিরে এসে দেখি বেগুনির রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে।’’ তিনি আরও জানান, যুবকের স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে চলে যাওয়ার পর শীতল কোনও কাজকর্ম করতেন না। শুধু গ্রামের বধূদের কাছে গিয়ে তাঁর জিনিস ফিরিয়ে দেওয়ার আর্জি করতেন। কী সেই জিনিস তা জানা যায়নি। তা নিয়েই গ্রামবাসীদের সঙ্গে বেশ কয়েক বার অশান্তিও হয়েছে শীতলের। দীপ্তি বলেন, ‘‘মাঝে মাঝেই মহিলাদের সঙ্গে গোলমাল করতেন শীতল। হুমকিও দিতেন খুন করে ফেলার। কিন্তু সত্যিই যে এমন কাণ্ড তিনি করবেন, তা ভাবতে পারিনি।’’
মালদহ জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ধৃত মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।