Kuntal Ghosh

কাজ করিয়ে ঠিকাদারকে টাকা না দেওয়ার অভিযোগ কুন্তলের বিরুদ্ধে, দেখাতেন রাজনৈতিক পরিচয়ও!

অভিযোগকারী ঠিকাদার শাহজাহানের দাবি, কুন্তলের সঙ্গে চুক্তি মতো কাজ শুরু দিয়েছিলেন তিনি। কথা ছিল ছয় কিস্তিতে কাজের টাকা পরিশোধ করবেন কুন্তল। কিন্তু টাকা দেননি কুন্তল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ধনেখালি শেষ আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২৩ ১৪:১০
Share:

ধৃত তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষ (বাঁ দিকে), ধনেখালির ঠিকাদার শাহজাহান খাঁ (ডান দিকে)। — নিজস্ব চিত্র।

নিয়োগ দুর্নীতিতে হুগলির তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষ গ্রেফতার হয়েছেন। তার পরেই রাতের ঘুম উড়েছে শাহজাহান খাঁয়ের। নিজের শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ মেরামতির জন্য ঠিকাদার শাহজাহানের সঙ্গে চুক্তি করেও টাকা না দেওয়ার অভিযোগ। টাকা চাইলে নিজের রাজনৈতিক পরিচয় তুলে ধরে ‘হুমকি’ও দিতেন, অভিযোগ ঠিকাদারের। শাহজাহানের দাবি, কুন্তলের কলেজের মেরামতির কাজের জন্য ৩৫ লক্ষ টাকার চুক্তি হয়। সেই চুক্তি অনুযায়ী ৮৫ শতাংশ কাজ হওয়ার পরও মেলেনি প্রাপ্য টাকা।

Advertisement

হুগলির ধনেখালির ভান্ডারহাটির পর কুন্তলের আরও একটি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের হদিস মেলে ধনেখালিরই মধুপুরে। ২০১৬ সালের আগে এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ নিতেন বহু ছাত্রছাত্রী। যদিও ২০১৬ সালের পর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যায় পুনর্নির্মাণের জন্য। সেই মেরামতির কাজ করানোর জন্যই ২০১৬-এর জানুয়ারিতে কুন্তলের সঙ্গে স্থানীয় ঠিকাদার শাহজাহানের চুক্তি হয়। কথা ছিল, মোট ৩৫ লক্ষ টাকা খরচ হবে। শাহজাহানের দাবি, ছয় দফায় পুরো টাকা পরিশোধ করে দেবেন কুন্তল। শাহজাহানের অভিযোগ, অনেকটা কাজ হয়ে যাওয়ার পর মাত্র ১ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা শাহজাহানকে দেন কুন্তল। চুক্তি মতো টাকা না পাওয়ায় কাজ বন্ধ করে দেন তিনি।

পাওনা টাকা না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন শাহজাহান। তাঁর আরও অভিযোগ, কুন্তলের কাছে বকেয়া টাকা চাইতে গেলেই তিনি রাজনৈতিক পরিচয় দেখিয়ে ‘ভয়’ দেখাতেন। শাহজাহানের দাবি, কুন্তল শাসকদলের ‘বড়’ নেতা হওয়ায় কোথাও অভিযোগ করারও সাহস পাননি। এ দিকে ইমারতি দ্রব্যের দোকানে কুন্তলের কাজ করতে গিয়ে বিপুল দেনা হয়ে গিয়েছে। সেখান থেকেও নিত্য তাগাদা দেওয়া হচ্ছে। অনেক ভেবে শাহজাহান স্ত্রীর গয়না বিক্রি করে দিয়েছেন। তাও ধার পুরো শোধ হয়নি। এই পরিস্থিতিতে কুন্তল গ্রেফতার হয়ে যাওয়ায় টাকা পাওয়ার সম্ভাবনা আরও ক্ষীণ হয়ে গিয়েছে। কী ভাবে দেনা শোধ করবেন, বুঝে উঠতে পারছেন না শাহজাহান।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement