প্রতীকী ছবি।
বৃদ্ধ বাবা-মাকে মারধরের অভিযোগ উঠল ছেলে ও বৌমার বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে হবিবপুরের ঋষিপুর পঞ্চায়েতের দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের ঘটনা। রাতেই থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন দম্পতির এক মেয়ে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, মহাবীর মণ্ডলের থেকে তাঁর স্ত্রী রাধারানি দেবীর আঘাত গুরুতর থাকায় তাঁকে মালদহ মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়েছে। ছেলে সুধাংশু এবং তাঁর স্ত্রী গীতার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের হওয়ায় নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। তবে ঘটনার পর থেকে তাঁরা ফেরার। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে দাবি পুলিশের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত দম্পতির চার ছেলেমেয়ে। ছোট ছেলে সুধাংশুর কাছে থাকতেন তাঁরা। অভিযোগ, সুধাংশু ও গীতা তাঁদের উপরে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করতেন। সেই কারণে পৃথক থাকার সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন ওই দম্পতি। শুক্রবার রাতে বাড়িতে কাজ করছিলেন রাধারানি। বাড়ির কাজকর্ম নিয়ে তাঁকে গালিগালাজ করতে শুরু করেন গীতা। প্রতিবাদ করায় বৃদ্ধাকে মারধর করা হয়। মহাবীরকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
ঘটনার সময় প্রতিবেশীরা ওই দম্পতিকে উদ্ধার করে প্রথমে নিয়ে যান বুলবুলচণ্ডী গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে মহাবীরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। মহাবীর পরে বলেন, “বয়স হয়ে গেলেও অশান্তির ভয়ে আমরা পৃথক ভাবে রান্না করে খাওয়াদাওয়া করছিলাম। তার পরেও বাড়ির কাজকর্ম নিয়ে আমাদের মারধর করা হল। ছেলেরা এমন করবে ভাবতে পারছি না।” থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন আক্রান্ত দম্পতির মেয়ে সুচিত্রা মণ্ডল। শনিবার তিনি বলেন, “বাবা-মায়ের উপরে ছোট দাদা ও বৌদি প্রায়ই অত্যাচার করত। কাল রাতে তাঁদের মারধর করা হয়। তাই থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।” মালদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অরিন্দম সরকার বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”