ফাইল চিত্র।
এক বছরেরও বেশি সময় আগে ইটাহারের চৌরাস্তা এলাকার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে বাস টার্মিনাস তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু শুধু উদ্বোধন হয়নি বলে তা এখনও চালুই হল না বলে দাবি ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের।
ইটাহারের তৃণমূল বিধায়ক এবং জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান অমল আচার্যের দাবি এর মধ্যে রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর একাধিকবার ইটাহারে এসে ওই টার্মিনাস উদ্বোধনের কথা প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়। কিন্তু কোনও বারই তিনি আসতে না পারায় উদ্বোধন পিছিয়ে যায়। অমল বলেন, ‘‘কখনও সরকারি কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে, কখনও আবার করোনা আবহের জেরে তিনি আসতে পারেননি। কিছু দিন আগে তিনি আমাকে জানিয়েছিলেন, ২ নভেম্বর তিনি উদ্বোধন করবেন। কিন্তু সেটাও বাতিল হয়ে গিয়েছে। ৫ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রী নবান্ন থেকে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে ওই বাস টার্মিনাসের উদ্বোধন করবেন বলে রাজ্য সরকার ও দলের শীর্ষ নেতৃত্ব আমাকে জানিয়েছেন।’’ যদিও এ নিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব আমাকে ইটাহারে গিয়ে বাস টার্মিনাস উদ্বোধনের অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু ইটাহারে যেতে পারব না জানিয়ে আমি কখনওই কাউকে সেটি উদ্বোধনের চূড়ান্ত তারিখ দিইনি। মুখ্যমন্ত্রী বাস টার্মিনাসটি উদ্বোধন করবেন কি না, তা জেলা প্রশাসন বলতে পারবে।’’
পূর্ত দফতরের ৮ বিঘা জমিতে পরিবহণ দফতরের ৮ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি ওই বাস টার্মিনাস তৈরির কাজ শুরু করে ইটাহার পঞ্চায়েত সমিতি। সেপ্টেম্বরে সেটি তৈরির কাজ শেষ হয়।
জেলা আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক সুরজকুমার দাস বলেন, ‘‘সরকারি নির্দেশে কিছু দিন আগে ওই বাস টার্মিনাসের যাবতীয় নথি ও তথ্য নবান্নে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’
টার্মিনাস না থাকায় বাসগুলি ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে দাঁড়িয়েই যাত্রী ওঠানো-নামানো করে। তাতে দিনের অধিকাংশ সময়েই সড়কে যানজট লেগে থাকে। তাই বাসিন্দারা দীর্ঘ দিন ধরেই একটি টার্মিনাসের দাবি তুলেছিলেন।