মৌসম বেনজির নুর—ফাইল চিত্র
মালদহে কোতোয়ালি পরিবারেই আস্থা রাখলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উত্তরবঙ্গের দুই জেলায় দলীয় সভাপতি পদে রদবদল করা হলেও মালদহে রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম নুরের হাতেই জেলা সভাপতির ‘ব্যাটন’ রাখলেন তিনি। দলের মালদহ জেলার চেয়ারম্যান পদে মোয়াজ্জেম হোসেনকে রেখে তিন জন কো-অর্ডিনেটর করা হল। দলীয় সূত্রে খবর, তাঁরা হলেন মানব বন্দোপাধ্যায়, দুলাল সরকার এবং অম্লান ভাদুড়ি। কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী ও নীহাররঞ্জন ঘোষকে রাজ্য কমিটির সম্পাদক করা হয়েছে। যদিও মালদহে দলের জেলা কমিটি গঠনের বিষয়টি ঝুলেই থাকল।
এ দিন রদবদল করা হয়েছে তৃণমূলের যুব কমিটিতেও। মালদহ জেলায় দলের যুব সংগঠনের জেলা সভাপতি পদ দেওয়া হয়েছে কৃষ্ণেন্দু-ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত প্রসেনজিৎ দাসকে। এর আগে প্রসেনজিৎ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি পদে ছিলেন। দলের আর এক যুবনেতা বিশ্বজিৎ মণ্ডল ঠাঁই পেয়েছেন যুব সংগঠনের রাজ্য কমিটিতে।
গত লোকসভা ভোটে মালদহের দু’টি আসনে ভরাডুবির পর মোয়াজ্জেম হোসেনকে সরিয়ে দলের জেলা সভাপতি করা হয় মৌসমকে। মোয়াজ্জেমকে করা হয় দলের চেয়ারম্যান। কার্যকরী সভাপতি করা হয়েছিল রতুয়ার বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়কে। সেই সময় দলনেত্রী নিজেই মালদহ জেলার সাংগঠনিক কাজকর্ম দেখবেন বলে ঘোষণা করেছিলেন। পরে অবশ্য পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে পর্যবেক্ষক করা হয়। অম্লান ভাদুড়িকে দলের জেলা কো-অর্ডিনেটর করা হয়েছিল।
দলীয় সূত্রে খবর, মানবকে হরিশ্চন্দ্রপুর, চাঁচল, মালতীপুর এবং রতুয়া, দুলালকে ইংরেজবাজার, মালদহ, হবিবপুর ও গাজল এবং অম্লানকে সুজাপুর, মোথাবাড়ি, বৈষ্ণবনগর এবং মানিকচক বিধানসভার কো-অর্ডিনেটর করা হয়েছে।
মৌসম বলেন, ‘‘এ দিন নেত্রী জেলার সাংগঠনিক কাজকর্ম পরিচালনার জন্য পাঁচ জনের কোর কমিটি করেছেন। তাঁদের সকলকে নিয়ে নেত্রীর নির্দেশ মেনে আমরা সাংগঠনিক কাজকর্ম পরিচালনা করব। আগামী বিধানসভা ভোটকে সামনে রেখে এখন থেকেই ময়দানে নেমে পড়ব।’’