মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল ছবি
মার্চের শুরুতে উত্তর দিনাজপুরে প্রশাসনিক বৈঠক ও সরকারি জনসভা করতে কালিয়াগঞ্জে আসতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, নবান্নের তরফে তাদের কাছে সেই বার্তা এসেছে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবিত সেই প্রশাসনিক বৈঠক ও জনসভা নির্বিঘ্নে শেষ করতে তৃণমূল জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা চাইল প্রশাসন।
রবিবার দুপুরে রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় নিজের অফিসে জেলার বিভিন্ন স্তরের তৃণমূল জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মিনা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কালিয়াগঞ্জ, ইটাহার ও করণদিঘির তৃণমূল বিধায়ক তপন দেবসিংহ, অমল আচার্য ও মনোদেব সিংহ, গোয়ালপোখরের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী গোলাম রব্বানি, জেলা পরিষদের তৃণমূলের সভাধিপতি কবিতা বর্মণ, রায়গঞ্জের পুরপ্রধান সন্দীপ বিশ্বাস, উপ-পুরপ্রধান অরিন্দম সরকার, ইসলামপুরের পুরপ্রধান তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল, জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন, তৃণমূলের প্রাক্তন দুই কর্মাধ্যক্ষ প্রফুল্ল বর্মণ ও গৌতম পাল। বৈঠকে রায়গঞ্জের ডিএসপি (ট্র্যাফিক) গোবিন্দ শিকদার-সহ রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার কর্তাদের একাংশও হাজির ছিলেন।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ওই বৈঠকে জেলাশাসক তৃণমূল জনপ্রতিনিধিদের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক ও সরকারি জনসভা নির্বিঘ্নে শেষ করতে সহযোগিতা চেয়েছেন। এই বিষয়ে জেলাশাসককে ফোন করা হলেও তিনি তা ধরেননি। এসএমএসেরও জবাব দেননি।
জেলা পরিষদের সভাধিপতি কবিতা ও রায়গঞ্জের উপ-পুরপ্রধান অরিন্দম সরকার জানিয়েছেন, কালিয়াগঞ্জে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক ও সরকারি জনসভার কথা রয়েছে। তার প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলতেই জেলাশাসক বৈঠক করেছেন। জনপ্রতিনিধিদের কাছে সহযোগিতাও চেয়েছেন। ইটাহার ও কালিয়াগঞ্জের দুই তৃণমূল বিধায়ক অমল আচার্য ও তপন দেবসিংহের দাবি, কালিয়াগঞ্জ শহরের কলেজ মাঠে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক ও সরকারি জনসভা করার কথা। ওই দুই কর্মসূচিতে জনপ্রতিনিধি, সরকারি আধিকারিক ও বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিতে আসা উপভোক্তা, কয়েক হাজার মানুষ যোগ দেবেন। কয়েকশো গাড়ি ওই মাঠে যাবে। কলেজমাঠে যাওয়ার রাস্তা অনেকটাই সঙ্কীর্ণ। মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক ও সভার দিন ওই রাস্তা ও মাঠ সংলগ্ন এলাকায় যানজট এড়াতে জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা চেয়েছেন জেলাশাসক।
তাঁরা আরও জানান, জেলার ন’টি ব্লক থেকে তালিকাভূক্ত সমস্ত উপভোক্তা যাতে ওই সভায় হাজির থাকেন এবং সভাস্থলে ঢুকতে গিয়ে যাতে কোনও বিশৃঙ্খলা না ছড়ায়, সেই বিষয়েও জনপ্রতিনিধিদের নজর রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে। সভার শেষে যাতে সুষ্ঠু ভাবে মানুষ ফিরে যেতে পারেন, তা-ও দেখতে বলা হয়েছে।
অমল ও তপনের কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক ও জনসভার দিন জেলার বিভিন্ন এলাকার তৃণমূল কর্মীরা জনসভার মাঠ ও মাঠ সংলগ্ন রাস্তায় থেকে সুষ্ঠু ভাবে ওই কর্মসূচি শেষ করতে সহযোগিতা করবেন।’’