অর্পিতা ঘোষ।
দক্ষিণ দিনাজপুরে দলের ‘রাশ’ থাকবে অর্পিতা ঘোষের হাতেই— কর্মিসভায় তা স্পষ্ট করলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার দুপুরে বুনিয়াদপুরের ফুটবল মাঠে প্রকাশ্য কর্মিসভায় একইসঙ্গে কারও নাম না করে বললেন, ‘‘যাঁরা মুখোশধারী হয়ে বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক রেখে অর্পিতাকে বেকায়দায় ফেলে হারিয়েছিলেন, তাঁরা বিজেপিতে গিয়েছেন। তাই অর্পিতাকেই এ জেলার দায়িত্ব দিয়েছি।’’
দলের অন্দরমহলের খবর, তৃণমূলনেত্রীর ওই মন্তব্যের লক্ষ্য ছিলেন দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র। বিজেপিতে গিয়ে ‘যোগ্য মর্যাদা’ না পাওয়ায় তিনি ফের তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন বলে ছড়ানো জল্পনায় এ দিন এ ভাবেই জল ঢেলে দিলেন মমতা।
সভায় তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘‘জেলায় অর্পিতা যে ভাবে আপনাদের জন্য সময় দিয়েছে, তা আর অন্য কেউ দেয়নি। জেলায় কাজ করার সময় ওর দুর্ঘটনা হয়েছিল। শরীরের হাড়গোড় ভেঙে গিয়েছিল। ভাবতেই পারিনি অর্পিতা উঠে দাঁড়াবে। ও সে ভাবে আপনাদের কাছে কিছু পায়নি। ওকেই দায়িত্ব দিয়েছি। তুমিই এখানে দলকে শক্তিশালী করো।’’
দলের অন্দরমহলের খবর, জেলাপরিষদ এবং গঙ্গারামপুর পুরসভার কর্তৃ্ত্ব হাতে রেখেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন বিপ্লব। গঙ্গারামপুর পুরসভা এবং জেলাপরিষদ পুনরুদ্ধারই শুধু নয়, বিপ্লব-শিবির থেকে একাধিক নেতাকে ফের দলে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন অর্পিতা। জেলায় তৃণমূলে ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব’ও মাথাচাড়া দিতে দেননি তিনি।
এ দিন মমতা বলেন, ‘‘তৃণমূলের থেকে মুখোশধারী হয়ে বিজেপিকে সমর্থন দিয়েছিল। তাঁদের বলি, একটা নির্বাচনে জয় এলেই হয় না। সব নির্বাচনে জয় আসতে হয়।’’ তাঁর কথায়, ‘‘সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি এক হয়েছে। প্রতি বার ভোটের আগে ওরা যা করে। আমাদের মধ্যে থেকে অনেকে বিজেপিকে মদত দিয়েছে। সেটা আইডেন্টিফাই হয়ে গিয়েছে। তারা সতর্ক থাকুন। যারা অন্যায় করবে, তাদের দল থেকে বের করে দেওয়া হবে।’’
এ দিন এ নিয়ে বিপ্লবকে ফোন করা হলেও তিনি তা ধরেননি। তবে বিপ্লব আগেই ওই জল্পনাকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন।