কালী পুজো উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী

এক বছর অপেক্ষা করতে চাননি প্রধাননগরে হিলকার্ট রোডের ধারে বিপ্লব স্মৃতি অ্যাথলেটিক ক্লাবের পুজোর কর্তারা। তাঁদের আগ্রহে এ বার সেই ক্লাবের কালীপুজো দিয়ে উদ্বোধনের সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০১৯ ০৩:২৪
Share:

উদ্বোধনে: শিলিগুড়িতে বিপ্লব স্মৃতি অ্যাথলেটিক ক্লাবের কালীপুজো উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র

কলকাতায় গত কয়েক বছর পুজোর উদ্বোধনে এক নম্বর নামটা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এবার তিনি জানিয়েছিলেন, সামনের বছর শিলিগুড়িতেও দুর্গা পুজো উদ্বোধন করবেন। তবে এক বছর অপেক্ষা করতে চাননি প্রধাননগরে হিলকার্ট রোডের ধারে বিপ্লব স্মৃতি অ্যাথলেটিক ক্লাবের পুজোর কর্তারা। তাঁদের আগ্রহে এ বার সেই ক্লাবের কালীপুজো দিয়ে উদ্বোধনের সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

সেই মঞ্চ থেকেও এনআরসি নিয়েই বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। গোটা উত্তরবঙ্গে লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর এনআরসি বিরোধিতাকে সামনে রেখেই তৃণমূল ঘর গোছাতে তৎপর বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মত। সে কারণে সমস্ত মঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী এই বার্তা দিচ্ছেন বলে তাঁদের একাংশ মনে করছে।

সংশ্লিষ্ট ক্লাবের সভাপতি নান্টু পাল। তিনিই প্রস্তাব দিয়েছিলেন শুক্রবার তাঁর ফেরার দিন কালী পুজোর উদ্বোধনের জন্য। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার ওই কর্মসূচি রাখার। এ দিন কার্শিয়াং থেকে ফিরে ফিতে কেটে, প্রদীপ জ্বালিয়ে উদ্বোধন করেন ওই পুজোর। মঞ্চে গিয়ে পুজোর তাৎপর্যকে ব্যাখ্যায় রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন গানের লাইন তুলে ধরেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা একা নই। মা, বাবা, কাকা— সবাইকে নিয়ে একটা পরিবার। তেমনি একটা দেশের পরিবারে হিন্দু, মুসলমান, শিখ, খ্রিস্টানও মিলেমিশে থাকে। ভেদাভেদ করা যায় না। আমি চাই, আগামীতে উত্তরবঙ্গ এই নিয়ে উত্তর দেওয়ার জন্য তৈরি থাকুন।’’

Advertisement

কী সেই উত্তর? নিজেই বলেন, ‘‘আমরা এনআরসি চাই না। আমরা সিটিজেনশিপ অ্যামেডমেন্ট অ্যাক্ট নিয়ে মানুষের নামে জাতিগত বিরোধ করতে চাই না। আমরা চাই বাংলার সবাই শান্তিপূর্ণ ভাবে সুন্দর ভাবে বসবাস করুক।’’ শেষে প্রার্থনার ভঙ্গিতে তিনি বলেন, ‘‘মাগো তুমি ভাল থেক, সকলকে ভাল রেখ।’’

বিজেপির দার্জিলিং জেলা সভাপতি অভিজিৎ রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী সিটিজেনশিপ অ্যামেডমেন্ট বিলের বিরোধিতা করছেন। তার মানে তিনি হিন্দু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিরোধিতা করছেন কি? আমরা সমস্ত হিন্দু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার পক্ষে।’’

মুখ্যমন্ত্রী পুজো উদ্বোধন করাকে ঘিরে হইচই পড়ে। মণ্ডপের সামনে হিলকার্ট রোডে এক দিকে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাতে যানজটের সৃষ্টি হয়। শুধু আগামী পুজোর আগেই নয়, এ বার রাসমেলাতে আসছেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement