মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সব ঠিক থাকলে, আগামী ১১ ডিসেম্বর জলপাইগুড়ি জেলায় আসতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বানারহাট ব্লকে তিনি একটি প্রশাসনিক বৈঠক এবং একটি সরকারি সভা করতে পারেন বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। বুধবার জলপাইগুড়ির জেলাশাসক শামা পারভিন, জেলা পুলিশ সুপার উমেশ খণ্ডবহালে-সহ পুলিশ এবং প্রশাসনের আধিকারিকেরা বানারহাট এবং ধূপগুড়ির কয়েকটি মাঠ পরিদর্শন করেন। প্রশাসন সূত্রের খবর, কোন মাঠে মুখ্যমন্ত্রীর সভা হতে পারে, তা চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে। ধূপগুড়িকে সম্প্রতি মহকুমা ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও মহকুমার কিছু পরিকাঠামো তৈরির কাজ এখনও শেষ না হওয়ায় প্রশাসনিক কাজ শুরু হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর সম্ভাব্য সফরসূচির আবহে সে প্রস্তুতিও খতিয়ে দেখা হয়েছে এ দিন।
বুধবার জেলা তৃণমূল সভাপতি মহুয়া গোপ বলেন, “যদিও সরকারি সভা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী আমাদের সকলের। তাই বলতেই পারি যে, আগামী ১১ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী বানারহাটে সরকারি সভা করতে পারেন। নানা পরিষেবা প্রদান করতে পারেন। ধূপগুড়ি মহকুমার পরিকাঠামো তৈরির কাজ চলছে সে সব নিয়েও খোঁজখবর নিতে পারেন।”
গত পঞ্চায়েত ভোটের আগে, মুখ্যমন্ত্রী দলের প্রচার সভায় এসেছিলেন ক্রান্তিতে। সে সভা থেকে তিনি চা শ্রমিকদের পাট্টা বিলির কথা ঘোষণা করেছিলেন। পরে তা নিয়ে পাহাড় এবং সমতলের চা পরিচালকদের একাংশ আপত্তি তুলেছিলেন। তা নিয়ে রাজ্য সরকারের তরফে একাধিক বৈঠক হয়। চা বাগানে পাট্টা দেওয়া মানে জমির দখল বা নিয়ে নেওয়া নয় বলে বোঝানো হয়। পাট্টা দিতে চা বাগিচারও কোনও ক্ষতি করা হবে না বলে দাবি করা হয়। তার পরে, পরিচালকদের তরফে তেমন গুরুতর আপত্তি আসেনি। তৃণমূল নেতাদের একাংশের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর এ বারের সভা সেই চা বলয়েই হতে পারে। সে কারণে সভার আগে চা শ্রমিকদের পাট্টা বিলির প্রসঙ্গ নিয়েও চর্চা শুরু হয়েছে।
গত পঞ্চায়েত ভোটে জলপাইগুড়িতে বিপুল জয় পেয়েছিল তৃণমূল, ধূপগুড়ি বিধানসভা উপনির্বাচনেও বিজেপিকে হারিয়ে আসন ছিনিয়ে এনেছে তৃণমূল। সে জয়ের পরে, সেই ধূপগুড়ি মহকুমার প্রস্তাবিত এলাকাতেই মুখ্যমন্ত্রীর সভা হওয়ার কথা।