জোড়া: মালদহের নার্সিংহোমে সেই দুই শিশু। নিজস্ব চিত্র
শারীরিক ভাবে জোড়া অবস্থায় জন্ম হল দুই শিশুর। শনিবার ভোরে মালদহের ইংরেজবাজারের একটি নার্সিংহোমে শিশু দু’টির জন্ম দেন হরিশ্চন্দ্রপুরের রোজিনা বিবি। অস্ত্রোপচারের পর ওই প্রসূতির শারীরিক অবস্থা আপাতত বিপন্মুক্ত। তবে দুই নবজাতকের শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক বলে নার্সিংহোম সূত্রের খবর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিশ্চন্দ্রপুরের কুমেদপুর এলাকার বাসিন্দা জাহিরউদ্দিন শেখের স্ত্রী রোজিনা বিবি শুক্রবার দুপুরে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি হন হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতালে। পরিস্থিতি সঙ্কটজনক থাকায় ওই মহিলাকে অন্যত্র ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন। পরিবারের লোকজন রাতেই মালদহ সদরের যদুপুর গাবগাছি এলাকায় একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে তাঁকে ভর্তি করান। নার্সিংহোম সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রসূতির শারীরিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এ দিন ভোরে তড়িঘড়ি অস্ত্রোপচার করা হয় ওই প্রসূতির। অস্ত্রোপচারের পর যমজ কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। নার্সিংহোম সূত্রের খবর, ওই দুই শিশুর শরীরের মাঝের অংশটি একে অপরের সঙ্গে জোড়া। বাকি অঙ্গগুলি স্বাভাবিকই। অস্ত্রোপচারের নেতৃত্বে থাকা চিকিৎসক আর চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, প্রসূতির শারীরিক অবস্থা বিপন্মুক্ত হলেও দুই শিশুর অবস্থা খুব আশঙ্কাজনক।
ওই নার্সিংহোমের কর্ণধার আনারুল হক জানিয়েছেন, ওই মহিলা প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে তাঁদের নার্সিংহোমে ভর্তি হন। তাঁর শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক দেখে নার্সিংহোমের চিকিৎসকদের প্রচেষ্টায় অস্ত্রোপচার শুরু হয়। দীর্ঘক্ষণ অস্ত্রোপচারের পর যমজ সন্তানের জন্ম হয়। পরিবারের লোকজন জানান, রোজিনার যে যমজ সন্তান হবে, সেটা এর আগে এক চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানিয়েছিলেন। কিন্তু এরকম শারীরিক ভাবে জোড়া অবস্থায় হবে, তা তাঁরা বুঝতেই পারেননি। তবে এ দিন এই জোড়া সন্তানের জন্মের পর তাঁর পরিবার মুষড়ে পড়ে।
প্রসূতির এক আত্মীয় মহম্মদ জরিপ বলেন, ‘‘আশঙ্কাজনক অবস্থায দেখে প্রসূতিকে প্রথম স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সেখানে থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে এই নার্সিংহোমে নিয়ে আসা হয়।’’ তিনি জানান, দুই শিশুর অবস্থা ভাল নয় বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। তবে প্রসূতি কিছুটা সুস্থ।