অভিযুক্ত রুবেল খান এবং মামুন রসিদ। — নিজস্ব চিত্র।
নতুন দিকে মোড় নিল ডিজে বাজানোর প্রতিবাদ করায় মালদহের মোথাবাড়িতে পঞ্চায়েতের উপপ্রধানকে পিটিয়ে খুনের ঘটনা। বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করানোর সময় ধৃতেরা দাবি করেছেন, বছর পঁয়ষট্টির আফজল মোমিন নয়, তাঁদের লক্ষ্য ছিল রথবাড়ি পঞ্চায়েতের সদস্যের স্বামী মিস্টার শেখকে মারধর করা। আফজলের খুনের অভিযোগে তাঁদের ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ধৃতেরা। পুলিশ জানিয়েছেন, ওই কাণ্ডের তদন্ত করছে।
আফজলের হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে ১৫ জনকে। বৃহস্পতিবার তাঁদের আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। আদালতে যাওয়ার সময় রুবেল খান নামে এক অভিযুক্ত দাবি করেন, ‘‘আমরা ওঁকে মারিনি। আমাদের ফাঁসানো হয়েছে। আমাদের মিস্টার ফাঁসিয়েছে। মিস্টার আগে কংগ্রেস করত। এখন তৃণমূল করে।’’ রুবেলের আরও দাবি, আফজল উচ্চ রক্তচাপ এবং সুগারের রোগী ছিলেন। হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলেও জানিয়েছেন রুবেল।
মামুন রসিদ নামে আর এক অভিযুক্ত দাবি করেন, ‘‘আমাদের উদ্দেশ্য ছিল মিস্টারকে মারার। কারণ ও প্রায়ই সব ব্যাপারে ঝামেলা করত। আমরা মারতে যাচ্ছিলাম। যিনি মারা গিয়েছেন তিনি ভাল লোক।’’ রথবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য জেসমিন আক্তারের স্বামী আবদুল বারি এলাকায় পরিচিত মিস্টার হিসাবে।
নিহত আফজলের ছেলে মহম্মদ জাহাঙ্গির আলি বলেন, ‘‘ওরা পিকনিক থেকে ডিজে বাজিয়ে ফিরছিল। এটা নিয়ে অনেকে আপত্তি করেছিল। তখন বাবা মধ্যস্থতা করে। এর পরে ওরা আবার আসে। শুনেছি ওরা বাঁশ, রড দিয়ে মেরেছে। আমরা ওদের শাস্তি চাই।’’
বৃহস্পতিবার আফজলের বাড়িতে যান মোথাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানিয়েছেন, খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।