ঘটনাস্থলে পুলিশ। — নিজস্ব চিত্র।
ভোর রাতে সংঘর্ষের জেরে দু’জনের মৃত্যু। ঘটনার অভিঘাতে থমথমে মালদহের মানিকচকের গোপালপুর এলাকা। ঘটনাস্থলে গিয়ে বোমা তৈরির নানা সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেইসঙ্গে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য।
সংঘর্ষের পর রবিবার গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ। পৌঁছয় বম্ব স্কোয়াডও। ওই আমবাগান থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু পরিমাণ অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। মিলেছে কমলা রঙের একটি রাসায়নিকও। ওই রাসায়নিক পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে কিছু পরিমাণ স্প্লিন্টারও। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে মালদহ থেকে যায় সিআইডির একটি দল।
গ্রাম থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে পাটখেতের মধ্যে একটি আমবাগানে তৈরি করা হত বোমা। ভোররাতে বোমা ফাটার আওয়াজে চমকে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারসারা বিবি ওই গ্রামের এক মহিলা বলেন, ‘‘রাতে বোমা ফাটার শব্দ শুনেছি। আমরা ভয়ে জানালা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। ওই আমবাগানে বোমা তৈরি হয়। ভোর রাতে বোমা তৈরি করা হত ওখানে। এই বোমা তৈরি করার জন্য মজুরি পেত পুরুষেরা।’’
মালদহের এই ঘটনা ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়েছে। বিজেপির দক্ষিণ মালদহ সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক গৌরচন্দ্র মণ্ডলের অভিযোগ, ‘‘এলাকায় বোমা তৈরির কারখানা গড়েছে তৃণমূল।’’ এ নিয়ে এনআইএ-কে দিয়ে তদন্তের দাবি করেছেন তিনি।
তৃণমূল নেতা কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর অবশ্য বক্তব্য, ‘‘পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করছে। যারা এ সব ঘটাচ্ছে তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করবে পুলিশ। যদি কোনও তৃণমূল কর্মী এর সঙ্গে জড়িত থাকে তা হলে দল তাকে রেয়াত করবে না।’’