এনডিএ ও বিরোধীদের উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী জগদীপ ধনখড় এবং মার্গারেট আলভা। ফাইল চিত্র।
উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী দিল বিরোধী শিবির। রবিবার দিল্লিতে এনসিপি নেতা শরদ পওয়ারের বাড়িতে বৈঠকে বসেন বিজেপি বিরোধী ১৭টি রাজনৈতিক দলের নেতারা। বৈঠক শেষে উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী হিসেবে মার্গারেট আলভার নাম ঘোষণা করেন পওয়ার। শনিবারই পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে তাঁদের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে বিজেপি। তাই ধনখড়ের নাম ঘোষণার পরেই তৎপরতা বেড়েছিল বিরোধী শিবিরে। বৈঠকে এসপি, ডিএমকে, জেএমএম শিবসেনা, সিপিএম, সিপিআই, ফব, এনসিপি-সহ ১৭টি রাজনৈতিক দল মার্গারেটের নামে সিলমোহর দেয়। রবিবারের বৈঠকে অংশ নেয়নি বাংলার শাসকদল তৃণমূল। তারা আগেই জানিয়েছিল, ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ শেষ করে বিকেল ৪টেয় সাংসদদের নিয়ে বাদল অধিবেশন-সহ উপরাষ্ট্রপতি ভোট নিয়ে আলোচনা করবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তাঁরা এই বৈঠকে অংশ নেবে না। উপরাষ্ট্রপতি ভোট নিয়ে তাঁরা সিদ্ধান্ত জানাবে ২১ জুলাই বিকেলে। তৃণমূল ছাড়াও বৈঠকে অনুপস্থিত ছিল অরবিন্দ কেজরীবালের আপ। যদিও, বিরোধী শিবিরের দাবি, আপের সমর্থন থাকবে আলভার দিকেই।
ভারতীয় রাজনীতিতে মার্গারেট পরিচিত কংগ্রেস নেত্রী হিসেবেই। ১৯৭৪ সালে প্রথম বার কংগ্রেসের পক্ষে রাজ্যসভার সাংসদ হন তিনি। তারপর ১৯৮০, ১৯৮৬ ও ১৯৯২ সালেও কংগ্রেসের হয়ে রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হন। রাজ্যসভার সাংসদ থাকাকালীন কখনও সংসদীয় মন্ত্রী, কখনও যুবকল্যাণ মন্ত্রক, কখনও মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছিলেন। ১৯৯৯ সালে প্রথম বার কংগ্রেসের টিকিটে কর্ণাটকের উত্তরা করনাড থেকে ভোটে দাঁড়িয়ে লোকসভার সাংসদ হন। কিন্তু ২০০৪ সালে সেই কেন্দ্রে দাঁড়িয়েই পরাজিত হন। তারপর সামলেছেন এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব।সেই মার্গারেটই এ বারের উপরাষ্ট্রপতি ভোটে বিরোধী শিবিরের বড় ভরসা। ধারে ও ভারে তিনি তাঁর প্রতিপক্ষ ধনখড়ের তুলনায় অনেক বেশি ওজনদার তিনি। কিন্তু ভোট সংখ্যা মার্গারেটের পক্ষে নেই। উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে বেঙ্কাইয়া নায়ডুর মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১০ অগস্ট। সংবিধান অনুযায়ী তার আগেই পরবর্তী উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া শেষ হওয়া প্রয়োজন। সেই কথা মাথায় রেখেই অগস্টের ৬ তারিখে ভোট হচ্ছে। আগামী ৫ জুলাই উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশনের তরফ। ১৯ জুলাই প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। মনোনয়ন যাচাইয়ের প্রক্রিয়া হবে ২০ জুলাই। আর ২২ জুলাই মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন।