Kanyashree

Malda: ‘কন্যাশ্রী’ সায়ন্তিকা মালদহ থেকে সাইকেলে কালীঘাটের পথে, দিদিকে ধন্যবাদ জানাতে

যাঁর কারণে তার দুই দিদি পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পেরেছে, তাদের পারিবারিক অবস্থা বদলে গিয়েছে, সেই ‘দিদি’কে সামনে থেকে দেখতে চায় সায়ন্তিকা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ইংরেজবাজার শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০২২ ১৬:০৫
Share:

‘দিদি’র ভক্ত মেয়ে, জানান সায়ন্তিকার মা। নিজস্ব চিত্র।

মালদহ থেকে সাইকেলে কলকাতা পাড়ি দিচ্ছে আট বছরের এক খুদে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে চায় সে। মুখ্যমন্ত্রীকে নিজের পরিবারের তরফে কৃতজ্ঞতা জানাতে চায়। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কারণেই তার দুই দিদি পড়াশোনা করতে পেরেছে। এক দিদির বিয়ের খরচও দিয়েছে রাজ্য সরকার। এমনকি, তাদের পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতাও বেড়েছে মমতার কারণে। সৌজন্যে, রাজ্য সরকারের একাধিক জনকল্যাণমুখী প্রকল্প।

খুদের নাম সায়ন্তিকা দাস। দ্বিতীয় শ্রেণির খুদে এই পড়ুয়ার ইচ্ছে, সাইকেল চালিয়ে মালদহ থেকে কলকাতা পাড়ি দেবে। না, শহর দেখতে নয়। উদ্দেশ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এক বার দেখা করা। তাঁকে ধন্যবাদ জানানো। যাঁর কারণে তার দুই দিদি পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পেরেছে, তাদের পারিবারিক অবস্থা বদলে গিয়েছে, সেই ‘দিদি’কে এক বার সামনে থেকে দেখতে চায় সায়ন্তিকা। আগামী ২৬ মে সাইকেল চালিয়ে কলকাতায় রওনা দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে সায়ন্তিকা।

Advertisement

সায়ন্তিকার বাবা প্রদীপ দাস পেশায় গাড়িচালক। মায়ের নাম উমা। ইংরেজবাজার পুর এলাকার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের মনস্কামনা পল্লিতে সায়ন্তিকাদের এক চিলতে টালির ঘর। সেখানেই পাঁচ জনের বাস। অনটনের সংসার। সায়ন্তিকার দুই দিদির পড়াশোনা মাঝপথে বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেই সময় ভরসা জোগায় মুখ্যমন্ত্রীর ‘কন্যাশ্রী’। পরে ‘রূপশ্রী’ও। রাজ্য সরকারের ওই দুই প্রকল্পের জোরেই সায়ন্তিকার এক দিদি বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্য দিদি কলেজে পড়ে। ছোট্ট সায়ন্তিকা বলছে, ‘‘আমার দিদিদের পড়াশোনার খরচ মমতাদিদি দিয়েছেন। এক দিদির বিয়ের ঠিক হয়েছে, মমতাদিদি টাকা দিয়েছেন। আমরা আগের থেকে অনেক ভাল আছি। তাই, কলকাতায় গিয়ে মমতাদিদিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’’

মালদহের জেলাশাসক, পুলিশ সুপার-সহ সরকারি আধিকারিকদের লিখিত ভাবে নিজের মনের ইচ্ছের কথা জানিয়েছে সায়ন্তিকা। মঙ্গলবার উমা বলেন, ‘‘নিজে আর্থিক অসঙ্গতির কারণে বেশি পড়াশোনা করতে পারিনি। অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। আর্থিক কারণে মেয়েদের পড়াশোনাও মাঝপথে বন্ধ হয়ে যেত, যদি ‘কন্যাশ্রী’ না থাকত। আমার ছোট মেয়ে মমতাদির প্রচণ্ড ভক্ত।’’ সায়ন্তিকার সঙ্গে তার দুই দিদিও যাবে মমতার কালীঘাটের বাড়িতে, এমনটাই জানিয়েছেন উমা। ছোট্ট সায়ন্তিকার এমন ইচ্ছের প্রশংসা করেন তাদের কাউন্সিলর পূজা দাস। তিনি বলেন, ‘‘বাচ্চাটিকে উৎসাহ দিতে সব রকম সহযোগিতা করব।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement