—প্রতীকী চিত্র।
সরকারি চাকরি শুধু নয়, দাদার পাওনাগণ্ডা নিয়েও বৌদির সঙ্গে গোলমাল চলছিল কালিম্পঙের জলঢাকার সূর্য ভুজেলের। রবিবার ধৃতকে কালিম্পং আদালতে তুলে পাঁচ দিনের হেফাজতে নিয়েছেন তদন্তকারীরা।
সূর্যর দাদা ধ্রুব ভুজেল ছ’মাস আগে মারা গিয়েছেন। তাঁর স্ত্রী জনিতা ও জনিতার দুই নাবালক ছেলেকেও শনিবার খুন করেন সূর্য। ধ্রুব সিঙ্কোনা বাগানের কর্মী ছিলেন। প্রায় দু’দশক ধরে তিনি বাগানের অফিস ও কারখানায় চাকরি করেছেন। তাঁর মৃত্যুর দু’মাসের মধ্যে সরকারিভাবে পরিবারের একজনকে চাকরি ও পাওনাগণ্ডা বুঝে নেওয়ার জন্য ডাকা হয়। তার পরেই বৌদি জনিতার সঙ্গে গোলমালে জড়িয়ে পড়েন সূর্য।
তদন্তকারীরা জানান, চাকরটি সূর্য করবেন বলে দাবি করেন। পিএফ, গ্রাইচ্যুটি-সহ অন্য লক্ষাধিক টাকা পয়সা বৌদিকে নিতে বলেন। জনিতা প্রথম থেকেই তাতে রাজি ছিলেন না। তিনি দেওরকে জানান, স্বামীর চাকরি তিনিই করবেন। টাকা পয়সাও দুই নাবালক ছেলের ভবিষ্যতের কথা ভেবে ব্যাঙ্ক বা অন্যত্র গচ্ছিত রাখবেন। এটাই অভিযুক্ত কিছুতেই মেনে নিতে পারছিল না। পুলিশের দাবি, জেরায় সূর্য জানিয়েছেন, ‘‘দাদা আমাকে বাগানে কাজের ব্যবস্থা করে দেবেন বলেছিলেন। বৌদি তা জানতেন। বৌদি কিন্তু কিছুতেই কোনও কিছু দিতে রাজি হননি। রাগের মাথায় সবাইকে মেরে বসি।’’
পুলিশের দাবি, শনিবার রাতে ৯টার পর বৌদির বাড়িতে মদ্যপ অবস্থায় গিয়েছিলেন সূর্য। ধ্রুব-জনিতার ভাইপোরা শুয়েছিল। কথা কাটাকাটির মধ্যে অভিযুক্ত বৌদিকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে গলায়, মাথায় আঘাত করেন বলে অভিযোগ। এর পরে দুই ভাইপো জেগে গেলে তাদেরও মেরে দিয়ে বাড়ি চলে যান। ঘটনাস্থলের অদূরে ধারাল অস্ত্রটি মিলেছে। মৃতার আত্মীয়রা পুলিশকে জানিয়েছেন, চাকরির বদলে ব্যবসার জন্য সূর্যকে একবার টাকা দেওয়ার কথাও বলেছিলেন জনিতা। কিন্তু সূর্য রাজি ছিল না। চাকরি, টাকা সব কিছু চাইছিল। মৃতাকে অন্য পরিবারের মেয়ে বলে মারার হুমকিও দিত। কিন্তু এমন করে বসবে কেউ ভাবেননি।