Madhyamik Exam 2020

স্পর্শকাতর, তবু নেই-রাজ্য স্কুল

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৬:১৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

স্পর্শকাতর কেন্দ্র, অথচ সিসি ক্যামেরা নেই। ঢোকার দরজায় দুই জন সিভিক ভলান্টিয়ার দাঁড়িয়ে। তাঁদের সামনে দিয়ে পরীক্ষার্থীরা ঢুকছেন। কিন্তু তাদের কাছে মোবাইল ফোনের মতো কোনও ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জাম আছে কি না, দেখা হচ্ছে না। একশো মিটারের মধ্যে বসেছে জুয়ার আসর। বিভিন্ন জায়গায় জটলাও। দুই-এক জন উর্দিধারী পুলিশ টহল দিলেও ভিডিয়ো রেকর্ডিং করতে দেখা যায়নি কোথাও। মঙ্গলবার শুভমায়া সূর্যনারায়ণ হাই স্কুলে এমনই চিত্র।

Advertisement

মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিনই ওই স্কুলে ১৮ জন পরীক্ষার্থী কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে ঢুকে পড়ে। এবং পরীক্ষা চলাকালীন মোবাইলে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে প্রশ্ন বাইরে পাঠায় বলে অভিযোগ। শেষে সকলেই ধরা পড়ে যায়। বাগডোগরা থানার পিছনের অংশে স্কুলটি। স্কুলের দরজার কাছেই আনাজের বাজার। এলাকায় হাজির অন্য ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকেরা এখন দাবি করেছেন, এ সবের পিছনে কোনও চক্র কাজ করছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা দরকার। তাঁদের কথায়, মালদহের মতো জেলা থেকে ওই পড়ুয়াদের কেন এত দূরের পরীক্ষাকেন্দ্র করা হল? বাগডোগরার অন্য একটি স্কুলের হয়ে এই পরীক্ষার্থীদের নথিভুক্তিকরণ হয়। পুরো বিষয়টি তদন্তের দাবি উঠেছে।

শিলিগুড়ি শিক্ষা জেলায় ১০টি পরীক্ষাকেন্দ্র স্পর্শকাতর ঘোষণা করেছে শিক্ষা দফতর। বাগডোগরার শুভমায়া হাইস্কুলও তার একটি। তার পরেও ঢিলেঢালা নজরদারি, পরীক্ষার্থীদের দেখে ঢোকানোর ক্ষেত্রে দায়সারা মনোভাব কেন, প্রশ্ন উঠেছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক গঙ্গাবাহাদুর ছেত্রীকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। এসএমএসেরও উত্তর দেননি। শিলিগুড়ি শিক্ষা জেলার ডিআই রাজীব প্রামাণিক বলেন, ‘‘কেন পুলিশি নিরাপত্তা পর্যাপ্ত ছিল না তা খতিয়ে দেখা হবে।’’

Advertisement

স্কুলের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, নজরদারির অভাব গলেই পরীক্ষার্থীরা মোবাইল নিয়ে ঢুকেছে। ওই স্কুলের এক শিক্ষক বলেন, ‘‘পরের পরীক্ষাগুলিতে আরও কড়া নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’

এ বছর এই স্কুলে মাধ্যমিকের প্রধান পরীক্ষাকেন্দ্র করা হয়েছে। নিরাপত্তার বেহাল দশা, নজরদারির এই পরিস্থিতির মধ্যে কেন প্রধান কেন্দ্র করা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শিলিগুড়ি জেলার মাধ্যমিক পরীক্ষার যুগ্ম আহ্বায়ক রাম ছেত্রী জানান, মাধ্যমিকে ‘মেটাল ডিটেক্টর’ ব্যবহার করা হয় না। পরীক্ষাকেন্দ্রের সমস্ত নিয়ম মেনেই এই স্কুলটিকে প্রধান কেন্দ্র করা হয়েছে। পর্যাপ্ত শিক্ষক, শ্রেণি কক্ষ, অন্যান্য পরিকাঠামো রয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘মোবাইল নিয়ে একদল ছাত্রের ঢোকার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্কুলের তরফেও পরের পরীক্ষাগুলিতে যাতে নজরদারিতে গাফিলতি না হয়, তা দেখা হবে।’’

এই পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে দু’টি দরজা পার হতে হয়। বাইরের দরজায় মাত্র দু’জন সিভিক ভলান্টিয়ারকে দেখা গিয়েছে। স্পর্শকাতর পরীক্ষাকেন্দ্রে যেমন পুলিশি নিরাপত্তা থাকে, তা ছিল না বলে অভিযোগ। পরীক্ষাকেন্দ্রের কাছে কয়েক জনকে দল বেঁধে ঘুরতে দেখা গিয়েছে। ইন্টারনেট সচল ছিল বাগডোগরায়। তার ফলেই প্রশ্নোত্তর মোবাইলে চালাচালি হয়েছে বলে দাবি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement