মাধ্যমিকের প্রথম দিনই এমন ছবি দেখা গেল মালদহের ভালুকা আরএমএম বিদ্যাপীঠে। ছবি: বাপি মজুমদার
রাস্তার পাশেই পরীক্ষাকেন্দ্র। মঙ্গলবার দুপুরে মাধ্যমিকের প্রথম পরীক্ষা তখন শুরু হয়েছে সেখানে। দেখা গেল, স্কুলভবনের কার্নিস বেয়ে উঠে দোতলার জানালা দিয়ে ক্লাসঘরে ছোট ‘চিরকুট’ দিচ্ছে কয়েক জন বহিরাগত। পুলিশ তেড়ে যেতেই লাফ দিয়ে পালাল। নিরাপত্তাকর্মীরা অন্য দিকে ফিরতেই ফের তারা ফিরল স্বমহিমায়। রাস্তার পাশের ওই পরীক্ষাকেন্দ্রের জানালা বন্ধ করে দেওয়া হলেও, দমল না ওই যুবকেরা।
মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিন এ ভাবেই মালদহের রতুয়ার একাধিক স্কুলে ‘টুকলি’ সরবরাহের অভিযোগ উঠল। ওই অভিযোগে তিন জনকে পুলিশ গ্রেফতারও করে। মাধ্যমিকের প্রথম দিন থেকেই বেপরোয়া ওই কাণ্ডে উদ্বিগ্ন অভিভাবকদের একাংশ। তবে চাঁচলের এসডিপিও সজলকান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘‘বিক্ষিপ্ত দু’একটি ঘটনা ছাড়া পরীক্ষা নির্বিঘ্নেই হয়েছে। রতুয়া হাইস্কুলে নকল সরবরাহের সময় পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে।’’
অভিভাবকদের একাংশের অভিযোগ, এ দিন ভালুকা আরএমএম বিদ্যাপীঠ ও রতুয়া হাইস্কুলে পরীক্ষা শুরুর পর থেকেই বহিরাগত যুবকেরা টুকলি সরবরাহ করতে শুরু করে। ভালুকা আরএমএম-এ আসন পড়েছে রতুয়া হাইস্কুল ও কাটাহা দিয়ারা হাইস্কুলের পড়ুয়াদের। রতুয়া হাইস্কুলে ‘সিট’ পড়েছে কাহালা হাইস্কুলের পরীক্ষার্থীদের। ভালুকা ও রতুয়ায় ওই দুই স্কুলে এ দিন পরীক্ষা শুরুর আধঘণ্টা পর থেকেই টুকলি সরবরাহ শুরু হয় বলে অভিযোগ।
প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকের নালিশ, রাস্তার পাশে ভালুকা এরএমএম স্কুলভবনের কার্নিস বেয়ে ওই যুবকেরা দোতালায় উঠে পড়ে। স্কুলভবনের একাংশে পাঁচিলের বাইরে থাকা কয়েকটি বাড়ির ছাদ, বারান্দা থেকেও টুকলি সরবরাহের চেষ্টা করা হয়। পরীক্ষাকেন্দ্রের ভিতরে ও বাইরে প্রহরা থাকলেও খবর পেয়ে পুলিশে যেতেই ওই যুবকেরা পালিয়ে যায়। পুলিশ সরতেই ফের তারা সক্রিয় হয়ে ওঠে। স্কুলভবনের চারপাশে যে সারাক্ষণ পাহারা দেওয়া সম্ভব নয়, তা স্কুল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি পুলিশের একাংশ মেনেছেন।
ভালুকা আরএমএম বিদ্যাপীঠ পরীক্ষাকেন্দ্রের ভেন্যু ইনচার্জ তথা ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ইমদাদুল হক। তিনি বলেন, ‘‘স্কুলে নির্বিঘ্নে পরীক্ষা হয়েছে। বাইরে থেকে কিছু যুবক টুকলি সরবরাহের চেষ্টা করেছিল। পুলিশ তাড়া করতেই তারা পালায়।’’