টাকা ছড়িয়ে লোক মোদীর সভায়, দাবি গৌতমের

বাগান শ্রমিকদের টাকা দিয়ে মোদীর সভায় আনারও অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল।

Advertisement

কৌশিক চৌধুরী

শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০১৯ ১০:০১
Share:

—ফাইল চিত্র।

শিলিগুড়িতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাতে ৩০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে বলে অভিযোগ তুললেন দার্জিলিং জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা মন্ত্রী গৌতম দেব। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি এই লোকসভা কেন্দ্রে প্রচুর কালো টাকা ছড়িয়েছে। আশেপাশের রাজ্য এবং সব জেলা থেকে লোক এনে ভোটে জেতার চেষ্টা করছে। নির্বাচন কমিশন বিষয়গুলি দেখেও দেখছে না। তবে বিজেপি নেতাদের দাবি, মোদীর সভায় লোক দেখে ভয় পেয়েছে তৃণমূল তাই এসব অভিযোগ তুলছে।

Advertisement

এ দিন বাগান শ্রমিকদের টাকা দিয়ে মোদীর সভায় আনারও অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। তৃণমূলের জেলা সভাপতি গৌতম বলেন, ‘‘মোদীর সভায় খরচ হয়েছে ৩০ কোটি টাকা। বিজেপি দার্জিলিং কেন্দ্রে কালো টাকা ছড়াচ্ছে। আমরা কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাব।’’

গৌতমবাবুর দাবি, মোদীর সভার জন্য অসম, সিকিম থেকে লোক আনা হয়েছিল। শহরের বেশ কয়েকটি ধর্মশালায় ১৫ দিন আগে থেকেই লোক ছিল। তাই রাজ্যের সীমান্তে কড়া নজরদারির সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্ত সিল করার দাবিও তোলা হয়েছে দলের পক্ষ থেকে। তৃণমূলের চা বাগান এলাকার নেতাদের অভিযোগ, চা বাগানে বিজেপির কোনও সংগঠন নেই বললেই চলে। তাই বাগানগুলির শ্রমিকদের মাথা পিছু এক হাজার টাকা করে দিয়ে মোদীর সভায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিজেপির বুথ খোলার জন্যও প্রতি বুথে ৪০ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছে।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

অভিযোগ উড়িয়ে বিজেপির উত্তরবঙ্গের জোনাল আহ্বায়ক রথীন্দ্রনাথ বসুর দাবি, মোদীর সভায় কেবল জলপাইগুড়ি থেকে ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি, ময়নাগুড়ি এবং জলপাইগুড়ি সদর থেকে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর, গোয়ালপোখর এবং চাকুলিয়া থেকে আর দার্জিলিং কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকা থেকে লোক এসেছিল। দলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি অভিজিৎ রায় চৌধুরীর পাল্টা অভিযোগ, ‘‘গৌতম দেবকে চ্যালেঞ্জ করছি, উনি সব মিথ্যে কথা বলছেন। টাকা দিয়ে ভোট কেনা, পঞ্চায়েত সদস্য বা জনপ্রতিনিধিদের কেনা তৃণমূলের সংস্কৃতি।’’

পাশাপাশি, এদিন দার্জিলিং কেন্দ্রের বেশ কয়েকটি জায়গায় বিজেপিকে অবৈধভাবে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়ারও অভিযোগ এ দিন তোলে তৃণমূল। দলের তরফে গৌতম জানান, এই কেন্দ্রের বেশ কিছু এলাকায় বিজেপিকে এগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। প্রশাসনের একাংশের কাজকর্মের প্রতি আমরা নজর রাখছি। সময় মতো লিখিত অভিযোগও জানানো হবে। এমনকি, জেলা নির্বাচন আধিকারিক তথা জেলাশাসক ব্যবস্থা না নিলে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাব।

জেলা নির্বাচন আধিকারিক জয়সী দাশগুপ্তের দাবি, ‘‘কাউকে এগিয়ে রাখা বা পিছিয়ে রাখার বিষয় নেই। আমরা লিখিত অভিযোগ পেলেই যথাযথ পদক্ষেপ করব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement