চালক: ট্রাক্টরে চেপে প্রচারে শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। মালদহে। নিজস্ব চিত্র
প্রাতঃভ্রমণে পথ চলতি মানুষের সঙ্গে কথা, চায়ের ঠেকে আড্ডা। রবিবার ছুটির দিনও সেই অভ্যেস বদলাননি দক্ষিণ মালদহের বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। এ দিন সকালে পুজো করে সামান্য চিড়ে খেয়ে প্রচারে বেরিয়ে পড়েন তিনি।
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চষে ফেললেন ইংরেজবাজার শহরের তৃণমূল পরিচালিত ওয়ার্ডগুলো। শ্রীরূপার দাবি, প্রচারে বেরিয়ে সর্বত্রই ভাল সাড়া মিলছে। যদিও তাঁর প্রচারে মানুষের সাড়া নেই বলে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেতারা।
প্রার্থী ঘোষণার পাঁচ দিন পরে মালদহে হাজির হন শ্রীরূপা। তাঁকে প্রার্থী করায় দলের অন্দরেই ক্ষোভ রয়েছে। তাই নেতা-কর্মীদের ক্ষোভ সামাল দিতে প্রচারে নেমে পড়ার আগে প্রথমে বৈঠক শুরু করেছিলেন শ্রীরূপা। তারপরে ভোট প্রচার শুরু করেন তিনি। বৈষ্ণবনগর থেকে জেলায় প্রথম প্রচার শুরু করেছিলেন তিনি। গত, বিধানসভা নির্বাচনে ওই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। এ বার শহর এলাকায় প্রচারে জোর দিলেন শ্রীরূপা।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এ দিন ভোর পাঁচটা থেকে ঘুম থেকে ওঠে পড়েন তিনি। প্রাতঃভ্রমণকারীদের সঙ্গে জনসংযোগে জোর দেন। তারপরে সকালে ইংরেজবাজার শহরের ফোয়ারা মোড়ে যোগ দেন চায়ের আড্ডায়। ওই চত্বরে থাকা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মূর্তির চারপাশে সাফাই অভিযান করেন শ্রীরূপা। এরপরে বাড়ি ফিরে স্নান সেরে পুজোয় ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
এরই মধ্যে ইংরেজবাজার শহরের বালুচর এলাকার বাড়ির সামনে হাজির হয়ে গিয়েছেন দলীয় কর্মী, সমর্থকেরা। তড়িঘড়ি জল দিয়ে চিড়ে ভিজিয়ে খেয়ে প্রচারে বেরিয়ে পড়েন শ্রীরূপা। শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ভোট প্রচার করেন তিনি। আর প্রচার শেষ করেন ৩ ওয়ার্ডে গিয়ে। প্রচারে বেরিয়ে পথ চলতি মানুষকে প্রণাম করছেন কখনও। কখনও আবার সাধারন মানুষের বাড়িতে ঢুকে পড়ছেন।