বার্তা: শিলিগুড়িতে প্রচার করলেন দার্জিলিং কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তা। —নিজস্ব চিত্র
নিচু তলায় বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেস এবং বাম কর্মীরাও জোট বেঁধেছে বলে তৃণমূলের ব্লক পর্যবেক্ষকরা জেলা কমিটিকে রিপোর্ট দিলেন। বুধবার দুপুরে জলপাইগুড়ির উকিল পাড়ার পার্টি অফিসে পর্যবেক্ষকদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী। এক একটি ব্লকের পর্যবেক্ষকরা দাবি করেন, বাম এবং কংগ্রেসের স্থানীয় ‘ভোট ম্যানেজাররা’ বিজেপিকে ভোট দেওয়ার কথাই এলাকায় প্রচার করছেন। সব পর্যবেক্ষকরাই অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁদের ব্লকে ব্যাপক লিড পাবে তৃণমূল। খোদ জেলা সভাপতিও এ দিন ২ লক্ষের বেশি ভোটে জেতার দাবি করেছেন।
এ দিন সৌরভ বলেন, “বিজেপির তো সব জায়গায় সংগঠনই নেই। সব বুথে এজেন্টও দিতে পারবে না বিজেপি। কিন্তু নিচুতলায় বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেস এবং বামেরা জোট করেছে। কংগ্রেসের পার্টি অফিসে বি্জেপি যাচ্ছে, বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বাম নেতারা দেখা করছে।” সৌরভের দাবি, এমন জোটেও তাঁদের কোনও সমস্যা নেই।
সূত্রের খবর, এ দিন দলের এক পর্যবেক্ষক সদর ব্লকের এক বামপন্থী নেতার নাম করে অভিযোগ করেছেন। একসময়ে দোর্দণ্ডপ্রতাপ ওই নেতার অনুমতি ছাড়া সদর দক্ষিণ এলাকায় সরকারি বা দলের কোনও কাজই হতো না বলে শোনা যায়। সেই নেতা এখনও বামপন্থী, তবে বিজেপির হয়ে প্রচার করছেন বলে অভিযোগ। তৃণমূলের দলের এক পর্যবেক্ষকের কথায়, “ওই নেতা কর্মী-সমর্থকদের বলছেন, বামেরা ভোটে জিততে পারবে না। তা হলে তৃণমূলকে যে হারাতে পারবে তাকেই ভোট দিতে হবে।” তৃণমূলের এক নেতা বলেন, “কংগ্রেসের ওই জনপ্রতিনিধি প্রকাশ্যে বলছেন, লোকসভায় তৃণমূলকে হারাতে অন্য কোথাও ভোট দিলে তার আপত্তি নেই।” তৃণমূল দাবি করেছে, কংগ্রেস, বাম যাই করুক, তাতে তাদের প্রার্থীকে আটকানো যাবে না।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
সিপিএমের প্রার্থী ভগীরথ রায় দাবি করেছেন, দলের সব কর্মীরা তাঁর সঙ্গেই রয়েছেন, উপরন্তু সাধারণ বাসিন্দাদের সমর্থন পাচ্ছেন। জেলা কংগ্রেস নেতা পিনাকী সেনগুপ্তের কটাক্ষ, “তৃণমূল অন্য কোনও কারণে ভয় পেয়ে থাকবে।” বিজেপির জলপাইগুড়ি লোকসভার প্রচারের সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকা রাজ্য কমিটির নেতা প্রবাল রাহা বলেন, “টাকা তো তৃণমূল ছড়াচ্ছে। তবে যারা টাকা নিচ্ছে, তারা ভোট আমাদেরই দেবে।”