নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগে থেকেই এ বার চায়ের দোকানে, রাস্তায় সব থেকে বেশি আলোচনা হয়েছে কেন্দ্রীয় বহিনী নিয়ে। বাহিনী এলাকায় ঢুকল বলে। কিন্তু বাহিনী দূরের কথা। মালদহের চাঁচল মহকুমায় রাস্তাঘাটে যে পুলিশ দেখা যেত, তারাও উধাও। দিন দুয়েক ধরে রাস্তায় মাঝেমধ্যে দেখা মিলছে দুয়েকজন সিভিক ভলান্টিয়ারের। কিন্তু গেলেন কেথায় পুলিশকর্মীরা?
প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রতিটি থানা থেকেই অধিকাংশ পুলিশকর্মীদের পাঠানো হয়েছে আলিপুরদুয়ারে। ১১ এপ্রিল সেখানে প্রথম দফার নির্বাচন। একে বাহিনী আসেনি।
এই পরিস্থিতিতে তাদের নাজেহাল অবস্থা, জানাচ্ছেন পুলিশকর্তারা। জেলার এক পুলিশকর্তা বলেন, এখন সবটাই নির্বাচন কমিশনের উপর নির্ভরশীল। তাদের নির্দেশ মেনেই কাজ করতে হচ্ছে। এখানে যারা রয়েছেন, তাদের দিয়েই কোনও রকমে কাজকর্ম সারতে সমস্যা হলেও কিছু করার নেই।
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
চাঁচল মহকুমায় চারটি থানা। চাঁচল, হরিশ্চন্দ্রপুর, রতুয়া ও পুখুরিয়া। মহকুমার একটি থানায় যেমন পুলিশকর্মী ছিলেন ৩০ জন। তার মধ্যে ২৫ জন পুলিশকর্মীকেই আলিপুরদুয়ারে পাঠানো হয়েছে। থানাগুলিতে গড়ে ২৫ থেকে ৩০ জন করে পুলিশকর্মী রয়েছেন। এখন সেখানে রয়েছেন চার থেকে পাঁচজন। স্বভবতই থানাগুলিকে আইনশৃঙ্খলা সামাল দিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে ১২ এপ্রিল পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।