প্রতীকী ছবি।
শান্তিপূর্ণ ভোটের লক্ষ্যে হবিবপুর বিধানসভার উপনির্বাচনে প্রতিটি বুথেই থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এ জন্য ১১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে মালদহ জেলায়। প্রশাসন ও পুলিশ সূত্রে খবর, আজ সোমবার বিকেল থেকেই বাহিনী জেলায় ঢুকতে শুরু করবে। হবিবপুর বিধানসভা এলাকার হবিবপুর ও বামনগোলা ব্লকের বিভিন্ন স্কুল ভবনে তাঁদের রাখা হচ্ছে। ভোটারদের আস্থা জোগাতে কাল মঙ্গলবার থেকেই রুটমার্চ শুরু করবে বাহিনী।
এদিকে, এই বিধানসভা উপনির্বাচনের ডিসিআরসি ও গণনা কেন্দ্র হচ্ছে জেলা সদর ইংরেজবাজার শহরের মালদহ জেলা স্কুলে। রবিবার সেই ডিসিআরসি ও গণনাকেন্দ্র পরিদর্শন করেন পর্যবেক্ষক হংসরাজ চৌহ্বান ও রিটার্নিং অফিসার সুজিতকুমার রায়।
আগামী ১৯ তারিখ মালদহ জেলার হবিবপুর বিধানসভার উপনির্বাচন। আট প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ করতে প্রস্তুতি তুঙ্গে প্রশাসনের। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, এই আসনে ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ৪০ হাজার ৩৫১ জন। ভোটগ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে ২৪৭টি। ভোটকর্মীদের প্রথম দফার প্রশিক্ষণ আগে হয়েছে। রবিবার দ্বিতীয় দফার প্রশিক্ষণ হয়। এই নির্বাচনের ডিসিআরসি ও গণনা কেন্দ্র করা হচ্ছে ইংরেজবাজার শহরের মালদহ জেলা স্কুলে। এদিকে, এই উপনির্বাচনে প্রতিটি বুথেই থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ১১ কোম্পানি বাহিনী আসছে। এর মধ্যে হবিবপুর ব্লকের জন্য আসছে ৬ কোম্পানি ও বামনগোলা ব্লকের জন্য ৫ কোম্পানি জওয়ান। ৬ কোম্পানির জওয়ানরা অসম স্টেট আর্মস পুলিশ ও ৫ কোম্পানি সিআরপিএফ। সূত্রের খবর, এ দিন রাজ্যের দক্ষিণবঙ্গের আসনগুলিতে লোকসভা ভোট মিটতেই ওই পরিমাণ বাহিনীর জওয়ানরা মালদহে আসবে। আজ, সোমবার বিকেল থেকে বাহিনী জেলায় ঢুকতে শুরু করবে। তাঁদের হবিবপুর ও বামনগোলা ব্লকের বিভিন্ন স্কুলে রাখা হচ্ছে। মঙ্গলবার থেকে বিধানসভার ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেই পালা করে রুটমার্চ শুরু করবে তারা। এদিকে, ভোটের দিন ৫টি কুইক রেসপন্স টিম করা হচ্ছে। সেই টিমে থাকবে এসএসবির জওয়ানরা। এদিকে এই বিধানসভা এলাকার চারটি পয়েন্টে নাকা চেকিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। এ ছাড়া, চারটি করে স্ট্যাটিক সার্ভেইল্যান্স টিম, ফ্লাইং স্কোয়াড কাজ করছে এখন। এ দিন ডিসিআরসি ও গণনাকেন্দ্র পরিদর্শন করেন পর্যবেক্ষক ও রিটার্নিং অফিসার। পরিদর্শন শেষে নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার সুজিতকুমার রায় বলেন, ‘‘ভোট শান্তিপূর্ণ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে। প্রতিটি বুথেই থাকছে কেন্দ্রী বাহিনী।’’