প্রতীকী ছবি।
ছোট ছোট সভা, পদযাত্রা তো হচ্ছেই। পাহাড় ও সমতলে অমর সিংহ রাইয়ের সমর্থনে ইতিমধ্যেই দু’টি বড় সভা করে ফেলেছে মোর্চা ও তৃণমূল। বামপ্রার্থী সমন পাঠক এবং কংগ্রেস প্রার্থী শঙ্কর মালাকারও এক দফায় পাহাড়ে প্রচার করে এসেছেন। কিন্তু ক্রমশই পিছিয়ে পড়ছে পদ্ম শিবির। প্রার্থীর নাম ঘোষণা না করায় সে ভাবে তাঁরা প্রচারে নামতে পারছেন না বলেই জানিয়েছেন নিচুতলার বিজেপি নেতা, কর্মীদের একাংশ। নাম ঘোষণায় বিলম্ব হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। জিএনএলএফ জানিয়ে দিয়েছে, দার্জিলিং কেন্দ্রে প্রার্থী হিসাবে তাদের সত্যপাল মহারাজকেই পছন্দ। তবে বিজেপি সূত্রে খবর প্রার্থীর নাম নিয়ে দলের রাজ্য, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এবং জোটসঙ্গী মোর্চার নেতারা এখনও একমত হতে পারেননি। তার ফলেই নাম ঘোষণা হয়নি। তবে প্রচারে পিছিয়ে পড়ায় অন্যরা যে বাড়তি সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে, তা স্বীকার করে নিয়েছেন অনেক বিজেপি নেতাই।
শিলিগুড়ির এক বিজেপি নেতা জানিয়েছেন, প্রার্থীর নাম ছাড়াই তাঁরা অনেক জায়গাতে দেওয়াল লিখেছেন। অনেক দেওয়াল শুধু রং করে দখল করে রাখা হয়েছে। প্রার্থীর নাম ঘোষণা হলেই সেগুলোয় লেখার কাজ শুরু হবে। ওই নেতা বলেন, ‘‘যত সময় যাবে, ততই প্রচার কঠিন হবে। সাধারণ মানুষ প্রার্থীর নাম জিজ্ঞাসা করলে আমরা উত্তর দিতে পারছি না। বিরোধীরাও সেটা প্রচার করছে। কোনও লিফলেট, প্রচারপত্রও তৈরি করা যাচ্ছে না প্রার্থীর নাম ছাড়া। যা হচ্ছে সেগুলি সবই দলের নেতা, কর্মীদের সভা।’’
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য সমস্যার কথা মানতে নারাজ। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের জাতীয় দল। নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। শীঘ্রই দার্জিলিং কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে। তবে প্রচার বন্ধ নেই। দলের সমর্থনে পাহাড়, সমতল সর্বত্রই প্রচার চলছে। পিছিয়ে নয়, আমরাই সব থেকে এগিয়ে আছি।’’ প্রার্থীর নাম ঘোষণা না হওয়ায় প্রচারে যে সমস্যা হচ্ছে, তা মেনে নিয়েছেন জিএনএলএফের সাধারণ সম্পাদক মহেন্দ্র ছেত্রীও। তিনি বলেন, ‘‘প্রার্থী বিজেপি ঠিক করবে। তবে আমাদের পছন্দ হিসাবে আমরা সত্যপাল মহারাজের নাম জানিয়ে দিয়েছি। নাম যত তাড়াতাড়ি ঘোষণা হবে ততই প্রচারে জোর আসবে।’’ বিজেপির পাহাড়ের সভাপতি মনোজ দেওয়ান বলেন, ‘‘এটা ঠিক যে প্রার্থী ঘোষণা না হওয়ায় আমরা জোরদার প্রচার শুরু করতে পারিনি। তবে সেটা সমস্যা হবে না। দলীয় স্তরে প্রচার চলছেই।’’