Coronavirus

পাহাড়ে শুরু লকডাউন, ডাবগ্রামেও

ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির বিধায়ক ও রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘‘শিলিগুড়ির বাসিন্দাদের সতর্ক হতেই হবে। শহর শিলিগুড়ির বৃহত্তর ক্ষেত্র ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি এলাকায় সংক্রমণ বাড়ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২০ ০১:৫১
Share:

শুনশান দার্জিলিং ম্যাল। নিজস্ব চিত্র

জিটিএ-র ঘোষণা মত রবিবার সকাল খেকে দার্জিলিং ও কালিম্পং পাহাড়ি এলাকায় সাতদিনের সার্বিক লকডাউন শুরু হল। প্রথম দিন থেকেই বিধি মানার ছবি স্পষ্ট হয়েছে পাহাড়ের চারটি পুরসভা ও আরও কয়েকটি এলাকায়। সংক্রমণ বৃদ্ধি রুখতে শিলিগুড়ি শহর লাগোয়া ডাবগ্রাম ও ফুলবাড়ির মোট চারটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৩০ জুলাই রাত দশটা অবধি পূর্ণ লকডাউনের ঘোষণা করা হয়েছে। প্রশাসনের ঘোষণার পর রাতের দিকে ফুলবাড়ি, ডাবগ্রামের বহু এলাকা শুনশান হয়ে যায়। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় পুলিশি টহল।

Advertisement

ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির বিধায়ক ও রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘‘শিলিগুড়ির বাসিন্দাদের সতর্ক হতেই হবে। শহর শিলিগুড়ির বৃহত্তর ক্ষেত্র ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি এলাকায় সংক্রমণ বাড়ছে। আমি জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলেছি। সব দিক চিন্তা করে চারটি পঞ্চায়েতে পূর্ণ লকডাউন করা হল।’’

গত সপ্তাহেই জিটিএ চেয়ারম্যান অনীত থাপা পাহাড়ের সার্বিক লকডাউনের ঘোষণা করেন। রবিবার সকাল ৬টা থেকে তা কার্যকর হবে বলে জানানো হয়। এর আগে মোর্চা সভাপতি বিনয় তামাংও জিটিও এলাকায় লকডাউনের পক্ষে সওয়াল করেন। অনীত থাপা জানান, ‘‘রোজই পাহাড়ে ৪-৫টি করে সংক্রমণের ঘটনা ঘটছে। প্রতিদিন কিছু মানুষ শিলিগুড়ি যাতায়াত করছেন। সমতলে নিয়মিত গাড়ি চলাচল করছে। অনেকে স্বাস্থ্য বিধি মানছেন না। পাহাড়কে বাঁচাতে হলে কড়া কিছু পদক্ষেপ নিতেই হবে।’’

Advertisement

গত শনিবার ছিল রাজ্যবাপী লকডাউনের দিন। সেদিন সমতল এবং পাহাড় মিলিয়ে ১০০ জনের উপর গ্রেফতার করা হয়। এ দিন যার প্রভাব পড়েছে মলরোড থেকে গাঁধীরোড, চকবাজার, জজবাজার বা মোটরস্ট্যান্ডে, সর্বত্র ছিল ১০০ শতাংশ লকডাউন। যদিও পাহাড়ের বহু বাসিন্দার মত, টানা বন্‌ধ-ধর্মঘটে অভ্যস্ত পাহাড়বাসী। তাই লকডাউন পাহাড়ে সফল হওয়া স্বাভাবিক। দার্জিলিং, কার্শিয়াং, মিরিক, কালিম্পং পুর এলাকা ছাড়াও সুখিয়াপোখরি, সুকনা, তিনধারিয়া, বিজনবাড়ি, পোখরিবং এলাকা বন্ধ রয়েছে।

কিন্তু শিলিগুড়ি শহর লাগায়ো চারটি পঞ্চায়েতে লকডাউন কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে প্রশাসনের অন্দরেই। জেলা প্রশাসনের কয়েজন অফিসার জানান, কন্টেনমেন্ট জ়োন ঘোষণার পরেও ওই এলাকায় বিধি ভাঙা হচ্ছে বলে অভিযোগ। আশিঘর, জলেশ্বরী, ফুলবাড়ি, শালুগাড়া, সাহুডাঙি, ইস্টার্ন বাইপাসের মত এলাকায় স্বাস্থ্য বিধি ভাঙার অভিযোগ রয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement