ভাঙচুর গাড়ি। নিজস্ব চিত্র
দুর্ঘটনায় এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ জানানোকে ঘিরে পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে ফাঁড়িতে ভাঙচুর। ভাঙচুর করা হল পুলিশের ছ’টি গাড়িও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শূন্যে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। যদিও গুলি চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। এই ঘটনায় সোমবার রাত পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মালদহের রতুয়া থানার অধীন মহানন্দটোলা পুলিশ ফাঁড়িতে সোমবার রাতের ওই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয় র্যাফ। পুলিশকর্মীরা বিক্ষোভকারীদের হঠাতে লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। স্থানীয় তৃণমূলের একাংশের নেতৃত্বে ফাঁড়িতে হামলা করে ভাঙচুর ও পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। চাঁচলের এসডিপিও সজলকান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ ঠিক নয়। মিথ্যে অভিযোগ তুলে ওঁরা ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে।’’
স্থানীয় সূত্রের খবর, রবিবার পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় এক সাইকেল আরোহী পরিমল মণ্ডলের (৩২) মৃত্যু হয়। তিনি এলাকার পরিচিত তৃণমূল কর্মী। ওই ঘটনায় অভিযোগ পেয়ে পুলিশ মামলা করে। কিন্তু এ দিন বিকেলে অভিযোগের ‘জিডি নম্বর’ চেয়ে ফাঁড়িতে যান কয়েকজন বাসিন্দা। কিন্তু পুলিশ জানায়, ওই ঘটনায় মামলা হয়েছে। ফলে ‘জিডি নম্বর’ থাকে না। এফআইআর কপি তাঁদের দেওয়া হবে। কিন্তু তাঁদের ‘জিডি নম্বর’ লাগবেই বলে অনড় থাকেন বাসিন্দারা। এর পরেই রাতে প্রথমে ফাঁড়িতে চড়াও হয়ে যথেচ্ছ ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। পরে একে একে ওসি, পুলিশকর্মীরা পৌঁছলে তাঁদের ছ’টি গাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। উল্টে ফেলে দেওয়া হয় একাধিক গাড়ি। পরে বিরাট পুলিশবাহিনী লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের হঠিয়ে দেয়।