দুর্ঘটনাগ্রস্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। — নিজস্ব চিত্র।
উত্তরবঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেলেন রেলমন্ত্রী বৈষ্ণব।
শিলিগুড়ি পৌঁছে বাইকে করে ঘটনাস্থলে আসছেন রেলমন্ত্রী বৈষ্ণব। এক যুবকের বাইকে ওঠেন তিনি।
বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি বিমানবন্দর থেকে দুর্ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
উত্তরবঙ্গে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনাস্থলে আসছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বিকেল সাড়ে ৪টের বিমানে তিনি রওনা দেবেন।
বিমানের অভাবে উত্তরবঙ্গে যেতে পারেননি বলে জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিমানবন্দর থেকে তিনি বলেন, ‘‘আমি সকাল থেকে চেষ্টা করছি। বিমান পাওয়া যায়নি। এখানকার সব বিমান তুলে দেওয়া হয়েছে। বিমানের এত দুর্দশা আমি জানতাম না।’’
সোমবার বিকেলে উত্তরবঙ্গে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকেল সাড়ে ৪টেয় তাঁর বিমান রওনা দেওয়ার কথা। বাগডোগরা নেমে সেখান থেকে উত্তরবঙ্গে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যাবেন মমতা। দেখা করবেন দুর্ঘটনায় আহতদের সঙ্গে।
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর হেল্পডেস্ক চালু করেছে রেল। বেশ কিছু হেল্পলাইন নম্বর প্রকাশ করা হয়েছে। সমস্যায় পড়লে ওই নম্বরগুলিতে ফোন করতে হবে যাত্রীদের।
পূর্বরেলের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, সোমবার বেলা ১২টা ৪০ মিনিটে শেষের দিকের চারটি কামরা বাদ দিয়ে ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের বাকি অংশ যাত্রীদের নিয়ে রওনা দিয়েছে। আলুয়াবাড়ি স্টেশনে দাঁড় করানো হয় ট্রেনটি। সেখানে যাত্রীদের জন্য জল এবং খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। ১২৯৩ জন যাত্রীকে নিয়ে ওই ট্রেন কলকাতার দিকে রওনা দিয়েছে।
দুর্ঘটনাস্থলে চলছে মাইকিং। এখনও কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের একটি কামরা মালগাড়ির ইঞ্জিনের উপর বিপজ্জনক ভাবে ঝুলছে। মাটি থেকে অনেকটা উপরে ঝুলছে কামরাটি। তা সরানোর চেষ্টা চলছে। তবে যে কোনও মুহূর্তে কামরাটি নীচে পড়ে যেতে পারে। তাই বিপদ এড়াতে ওই এলাকা থেকে যাত্রী এবং স্থানীয়দের সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং চলছে।
পূর্বরেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, “এখনও পর্যন্ত আট জনের মৃত্যু হয়েছে। তিন জন রেলের কর্মী। দু’জন মালগাড়ির লোকো পাইলট। এক জন কাঞ্চনজঙ্ঘার গার্ড। বাকি পাঁচ জনের পরিচয় জানা যায়নি।”
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় রেলওয়ে মেল সার্ভিসের (আরএমএস) এক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। শঙ্করমোহন দাস নামের ওই কর্মী কলকাতার বেলেঘাটার বাসিন্দা বলে খবর। কর্তব্যরত অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের অক্ষত অংশ যাত্রীদের নিয়ে মালদহের দিকে রওনা দিয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র। তিনি জানিয়েছেন, যাত্রীদের জল এবং খাবার দেওয়া হয়েছে। এখনও উদ্ধারকাজ চলছে।
রেলের তরফেও আলাদা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হল। রেলমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডলে জানিয়েছেন, মৃতের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। যাঁরা গুরুতর আহত, তাঁরা আড়াই লক্ষ টাকা এবং যাঁরা কম আহত, তাঁরা ৫০ হাজার টাকা করে পাবেন।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের যে অংশ পাশের লাইনে ছিটকে পড়েছে, তা জেসিবি দিয়ে আপাতত সরানোর কাজ চলছে। ওই লাইন খালি করে ট্রেন পরিষেবা সচল রাখা হবে।
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে বিএসএফ। তাদের ১০০ জন জওয়ান উদ্ধার চালাচ্ছেন। রয়েছে রাজ্য এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান জয়া বর্মা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় মালগাড়ির চালক এবং সহকারী চালকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, সিগন্যাল অমান্য করায় দুর্ঘটনা। আট জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে পাঁচ জন যাত্রী, তিন জন রেলের কর্মী। উদ্ধারকাজ প্রায় সম্পূর্ণ।’’
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনা এখনও পর্যন্ত আট জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানাল রেল। তাঁদের মধ্যে পাঁচ জন যাত্রী এবং তিন জন রেল কর্মচারী।
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী। যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের পরিবারকে দু’লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে তাঁর দফতর।
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা নিয়ে পোস্ট করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এক্স হ্যান্ডলে দুঃখপ্রকাশ করেছেন তিনি।