সুইডেনের মায়ের সঙ্গে রাহুল। নিজস্ব চিত্র।
এ যেন রূপকথা গল্প। নতুন বাবা-মায়ের কাছে থাকতে মালদহের অনাথ আশ্রম থেকে সুইডেন যাচ্ছে রাহুল।
এতদিন রাহুলের ঠিকানা ছিল মালদহের ইংরেজাবাজারের একটি বেসরকারি হোম। ২০১৮ সালের জুলাই মাসে চাঁচোল থেকে রাহুলকে উদ্ধার করে পুলিশ। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ২ বছর। প্রথমে তাকে চাইল্ড লাইনের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে ঠিকানা হয় ইংরেজবাজারের ওই হোম। ছোট থেকেই পায়ে সমস্যা রয়েছে রাহুলে। অনেক চিকিৎসা হলেও পুরোপুরি সারেনি। সেই রাহুল এ বার নিজের পরিবার পেল। দত্তক নিল সুইডেনের এক দম্পতি।
প্রথমে পুলিশ ও পরে হোম কর্তৃপক্ষ রাহুলের পরিবারের খোঁজও করেছিল। কিন্তু কোনও সন্ধান মেলেনি। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী খবরের কাগজে বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়। তবুও কেউ রাহুলের খোঁজ নেয়নি। কেউ যদি দত্তক নিতে চায় এই আবেদন জানিয়ে অনলাইনে রাহুলের যাবতীয় তথ্য দেওয়া হয়। তবে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকার জন্যই রাহুলকে দত্তক নিতে অনেকদিনই কেউ আগ্রহ দেখায়নি। অবশেষে সুইডেনের এক দম্পতি রাহুলকে দত্তক নিতে আগ্রহ দেখান।
ওই বেসরকারী হোমের কর্তা মৃন্ময় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অনলাইনে গাটড মারিয়া গিব্রান্ট রাহুলকে দত্তক নেওয়ার জন্য আবেদন করেন। এর পর প্রক্রিয়া শুরু হয়। সুইডেন থেকে মালদহে আসেন রাহুলের হবু মা। যাবতীয় নথি তৈরি হওয়ার পরে রাহুলকে ওই মহিলার হাতে তুলে দেওয়া হয়। রাহুল পরিবার পাওয়ায় খুশি বেসরকারি হোমের আবাসিক এবং কর্মীরা। খুশি রাহুলও। সন্তান পেয়ে আনন্দে আত্মহারা সুইডেনের মারিয়াও।